সংবিধানের ভুল ব্যাখ্যা করেছেন রাহুল! অস্বস্তি বাড়িয়ে অনাস্থা প্রস্তাব বিজেপি সাংসদের
রাহুল গান্ধীর বক্তব্য ঘিরে বিতর্ক তুঙ্গে। বুধবার কংগ্রেস সাংসদ লোকসভায় যে বক্তব্য পেশ করেছেন তাতে সাধারণ মানুষকে উত্তেজিত করা হয়েছে বা উস্কানি দেওয়া হয়েছে এমন অভিযোগ তুলে রাহুলের বিরুদ্ধ অনাস্থা প্রস্তাব আনলেন বিজেপি সাং
রাহুল গান্ধীর বক্তব্য ঘিরে বিতর্ক তুঙ্গে। বুধবার কংগ্রেস সাংসদ লোকসভায় যে বক্তব্য পেশ করেছেন তাতে সাধারণ মানুষকে উত্তেজিত করা হয়েছে বা উস্কানি দেওয়া হয়েছে এমন অভিযোগ তুলে রাহুলের বিরুদ্ধ অনাস্থা প্রস্তাব আনলেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে।
দেশকে রাজত্ব মনে করে শাসন চালাচ্ছে বিজেপি। বুধবার এমনটাই বলেছিলেন রাহুল গান্ধী। আর তারপরই সেই বক্তব্যের বিরোধিতা করেছেন একাধিক বিজেপি সাংসদ।
নিশিকান্ত দুবে রাহুল গান্ধী স্ক্রিপ্ট রিডার ড্রয়িং রুম পলিটিসিয়ান বলে কটাক্ষ করেছেন। তাঁর দাবি, রাহুল গান্ধী সংবিধানের প্রস্তাবনাটুকুও পড়েননি, যেখানে লেখা আছে নাগরিক হিসেবে ভারতকে ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। সেখানেই বোঝানো হয়েছে যে ভারত একটি গণতান্ত্রিক দেশ। বিজেপি সাংসদের দাবি, এই সহজ কথাটাও বুঝতে পারেননি রাহুল গান্ধী।
নিশিকান্ত দুবের অভিযোগ, সংবিধানের ভুল ব্যাখ্যা সামনে এনে রাহুল গান্ধী ভুল ও অবৈধ তথ্য তুলে ধরেছেন। দেশের মানুষকে ভুল বোঝানো হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। এই অপরাধ শাস্তিযোগ্য বলেও দাবি করেন তিনি। তাঁর মতে, এভাবে গান্ধীর বক্তব্য সাংসদদের ও সাধারণ মানুষকে ভুল বুঝিয়েছে। এই ব্যাপারে রাহুল গান্ধী বা কংগ্রেসের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
সংসদের নিয়ম অনুযায়ী, যদি কোনও সদস্য ক্ষমতা বা অধিকারের অসম্মান করে, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা হয়। সংসদের নিয়ম ভাঙা হল কি না, ঠিক করে সংসদ।
বাজেট অধিবেশনের শুরুতে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের ভাষণের ধন্যবাদ প্রস্তাবের বিতর্কে অংশ নিয়ে রাহুল গান্ধী বুধবার বলেছেন, 'রাজা কারও কথা শোনেন না।' তিনি আরও বলেছেন, ভারত এক যুক্তরাষ্ট্র। এটাও অংশীদারিত্ব বা রাজত্ব নয়। তার এই মন্তব্যেরই বিরোধিতা করেছে বিজেপি। প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে তিনি বলেন, কৃষকের কথা বলার অধিকার নেই। রাজা তো কারও কথাই শোনেন না। তাঁর দাবি, ১৯৪৭ সালে রাজতন্ত্রের ধারণা বাতিল করে দিয়েছিল কংগ্রেস। আর এখন সেটাই আবার ফিরে এসেছে।
অন্যদিকে, সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের জবাবি ভাষণ দিতে গিয়ে রাহুল গান্ধী বলেন, তিনি ভাষণে কী বলেন নি? রাহুল গান্ধী বলেন, একটি নয় দুটি ভারত রয়েছে। একটি হল অত্যন্ত ধনী ব্যক্তিদের জন্য, যাঁদের প্রচুর সম্পদ রয়েছে। তাঁদের চাকরির প্রয়োজন নেই। অন্যটি গরিবদের জন্য। রাহুল বলেন চেতনা জাগানো মানেই সমালোচনা নয়।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতির ভাষণে বিহারের কথা আসেনি। ভাষণে বেকারত্ব নিয়ে কোনও কথা ছিল না। ভারতের যুবকরা চাকরি চাইছে, যা এই সরকার দিতে পারেনি। শুধু তাই নয়, চিন-পাকিস্তান নিয়েও মোদী সরকারকে তীব্র আক্রমণ শানান কংগ্রেসের সেকেন্ড ইন কমান্ড।