কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী এমজে আকবরের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ চার মহিলার, তোলপাড় টুইটারে
সোমবার সন্ধ্যায় চার মহিলা সাংবাদিক যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুললেন বরিষ্ঠ সাংবাদিক তথা বিদেশ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী এমজে আকবরের বিরুদ্ধে।
সোমবার সন্ধ্যায় চার মহিলা সাংবাদিক যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুললেন বরিষ্ঠ সাংবাদিক তথা বিদেশ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী এমজে আকবরের বিরুদ্ধে। প্রিয়া রমণী নামে এক মহিলা সাংবাদিক আকবরকে নিশানা করেন। ২০১৭ সালের অক্টোবরে ভগ ম্যাগাজিনে সেই অভিজ্ঞতার কথা প্রকাশিত হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। সোমবার তা নিয়ে ফের টুইট করেছেন তিনি। সেই টুইট সামনে আসতেই আরও তিনজন মহিলা সাংবাদিক একই অভিযোগ করেন।
|
প্রিয়া রমণী
রমণী বলেছেন, তাঁর তখন ২৩ বছর বয়স, আকবরের ৪৩। মুম্বইয়ের হোটেলে চাকরির ইন্টারভিউয়ের জন্য তাঁকে ডাকা হয়। আকবর জোর করে হোটেলের ঘরে ডেকে নেন। তাঁকে পানীয় অফার করেন। আকবর নিজে ভডকার গ্লাসে চুমুক দেন। পরে কাছাকাছি বসার জন্য জোর করেন। তবে তাতে সাড়া না দিয়ে রমণী বেরিয়ে আসেন।
|
প্রেরণা সিং বিন্দ্রা
রমণীর টুইটের পর টুইট করেন প্রেরণা সিং বিন্দ্রা। তিনি জানান, জীবনের প্রথম চাকরি ইন্টারভিউয়ে কাজ নিয়ে আলোচনার জন্য হোটেলের ঘরে ডেকে পাঠান আকবর। তবে প্রস্তাব অস্বীকার করে বেরিয়ে আসেন। এতদিন নানা কারণে তিনি মুখ খুলতে পারেননি। তবে এখন তা শেয়ার করছেন বলে জানিয়েছেন প্রেরণা।
|
সুজাতা আনন্দন
আমার এক বন্ধুর বাড়িতে তিনি (আকবর) পৌঁছে গিয়েছিলেন মাঝরাতে। সেই বন্ধু সিঙ্গল মাদার ছিল। ফলে সে কোলের সন্তান নিয়ে আকবরকে ঘরে ঢুকতে দেয়নি বা তাঁর সঙ্গে বাইরে বেরতেও অস্বীকার করে। তার ফল পরের দিন অফিসে যেতেই সুদে আসলে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছিল, আকবরের কথা না শোনার ফল কত মারাত্মক হতে পারে।
|
শুমা রাহা
তিনিও এসব দেখে নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন। শুমার কথায়, ১৯৯৫ সালে কলকাতায় তাজ বেঙ্গলে তাঁর সঙ্গেও একই কাজ করেছিলেন আকবর। তারপর সেই কাজের অফার নিজেই ফিরিয়ে দেন শুমা।
এমজে আকবর
এমজে আকবর বিজেপির রাজ্যসভা সাংসদ ও বিদেশমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী। তিনি সাংবাদিক হিসাবে সুপ্রসিদ্ধ। দ্য টেলিগ্রাফ, এশিয়ান এজ, দ্য সানডে গার্ডিয়ানের মতো সংবাদপত্রের সম্পাদনা করেছেন তিনি।