'৭ নভেম্বরের মধ্যে স্থিতিশীল সরকার গঠন না হলে মহারাষ্ট্রে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হবে'
৭ নভেম্বরের মধ্যে স্থিতিশীল সরকার গঠন সম্ভব না হলে মহারাষ্ট্রে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হবে বলে জানালেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা সুধির মুঙ্গান্তিওয়ার।
৭ নভেম্বরের মধ্যে স্থিতিশীল সরকার গঠন সম্ভব না হলে মহারাষ্ট্রে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হবে বলে দাবি করলেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা সুধীর মুঙ্গান্তিওয়ার। প্রসঙ্গত, নির্বাচনের ফলপ্রকাশের ৮ দিন পরও সরকার গঠনের ক্ষেত্রে কোনও অগ্রগতি হয়নি। নির্বাচনের আগে জোট বেঁধে লড়লেও ফলপ্রকাশের পর মুখ্যমন্ত্রিত্ব নিয়ে টানাপড়েনের মধ্যে ঝুলে রয়েছে আলোচনা ও সরকার গঠন। ভাঙতে বসেছে বিজেপি-সেনা জোট। এরই মাঝে রাষ্ট্রপতি শাসনের ঘণ্টা বাজিয়ে সেনাকে চাপে ফেলতে চাইছে বিজেপি।
মারাঠা রাজনীতিতে ঝড়
ফিফটি-ফিফটি মুখ্যমন্ত্রিত্ব নিয়ে সেনার দাবি নিয়ে এমনিতেই জেরবার ছিল মারাঠা রাজনীতি। এরই মধ্যে গতকাল এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ারের সঙ্গে শিবসেনার সঞ্জয় রাউতের বৈঠক ঘিরে শুরু হয় নতুন জল্পনা। এদিকে এই বৈঠকের পরই ফের একবার বিজেপিকে হুঁশিয়ারি দিলেন সেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত। জানিয়ে দিলেন, বিজেপি-কে আল্টিমেটাম না দিলেও মহারাষ্ট্রে মুখ্যমন্ত্রী হবে সেনা শিবির থেকেই।
বিজেপি-কে সেনার হুঁশিয়ারি
সঞ্জয় রাউত এই বিষয়ে বলেন, "যদি শিবসেনা চায় তবে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যা তারা যোগার কর নেবে। মানুষ ফিফটি-ফিফটি ফর্মুলার উপর ভরসা রেখেই ভোট দিয়েছিল। মহারাষ্ট্রের জনগণ শিবসেনার মুখ্যমন্ত্রী চায়।" এর আগে বিজেপি-সেনার ক্ষমতা বণ্টনের টানাপোড়েনের মধ্যেই সঞ্জয় রাউত গতকাল সংবাদ মাধ্যকে জানিয়েছিলেন, কংগ্রেস ও এনসিপির জয়ী প্রার্থীরা শিবসেনার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে।
সেনা-বিজেপি চাপানউতর জারি
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশের কড়া সমালোচনা করেন সেনা প্রধান। দিওয়ালির সময় গণমাধ্যমের সামনে কথা বলার সময় ফড়নবিশ বলেছিলেন, "শিবসেনাও পাঁচ বছরের জন্য মুখ্যমন্ত্রিত্বের দাবি করতে পারে। তবে দাবি করা আর পাওয়ার মধ্যে ফারাক আছে। দুটো সম্পূর্ণ আলাদা বিষয়। ফিফটি-ফিফটি ফর্মুলায় মুখ্যমন্ত্রিত্ব নিয়ে কোনও চুক্তি হয়নি আমাদের মধ্যে। তাদের কোনও দাবি থাকলে তারা এসে আমাদের সঙ্গে আলোচনায় বসুক। আমরা তাদের দাবির যৌক্তিকতা বিচার করে সিদ্ধান্ত নেব।"
ঠান্ডা লড়াইয়ে একে অপরের উপর চাপ সৃষ্টি
এই মন্তব্যের পরেই আরও উত্তপ্ত হয়ে যায় পরিস্থিতি। ঠান্ডা লড়াই গিয়ে দাঁড়ায় আরও গুরুতর অবস্থায়। দিওয়ালির পর সরকার গঠন নিয়ে বিজেপি-সেনার যেই বৈঠক হওয়ার কথা ছিল তা ভেস্তে দেন সেনা প্রধান। জোটের ভবিষ্যৎ নিয়ে উঠে যায় আরও বড় প্রশ্ন। এরই মধ্যে একে অপরের উপর চাপ বাড়ানোর কৌশল অবলম্বন করে বিজেপি ও সেনা। শরদ পাওয়ারের সঙ্গে সঞ্জয় রাউতের সাক্ষাৎ করা সেই কৌশলেরই অঁশ ছিল কি না তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে এরই মাঝে বিজেপিও চাপ বাড়াতে শুরু করেছে সেনা শিবিরের উপর।
সেনাকে পাশ কাটিয়ে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার তোরজোর ফড়নবিশের
মহারাষ্ট্র বিজেপি সূত্রে পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, আগামী মঙ্গলবার যদি না হয় তাহলে তার পরের দিন অর্থাৎ ৬ নভেম্বর বুধবার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ফের একবার শপথ নেবেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। সেই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান আয়োজিত হবে মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে।