তৃণমূলকে রুখতে ফতোয়া জারি, পুরভোটের আগে হোটেলের দরজা বন্ধ করতে চাইছে বিজেপি
তৃণমূলকে রুখতে ফতোয়া জারি, পুরভোটের আগে হোটেলের দরজা বন্ধ করতে চাইছে বিজেপি
তৃণমূল কংগ্রেস এবার ত্রিপুরা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে পুরসভা নির্বাচনে। সেই নির্বাচনে প্রচারের জন্য ত্রিপুরায় ভিড় জমাচ্ছেন বাংলার তৃণমূল নেতারা। ফলে তাঁদের থাকতে হচ্ছে ত্রিপুরার বিভিন্ন হোটেলে। কিন্তু তাঁদের হোটেলে রাখা নিয়ে হোটেল মালিককে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে।
ত্রিপুরার শাসক দল বিজেপির অলিখিত ফতোয়া
প্রাক নির্বাচন পর্বে ত্রিপুরা বারবার উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। বিভিন্ন বিষয়ে উত্তেজনা ছড়াচ্ছে ত্রিপুরায়। ত্রিপুরায় সম্প্রতি অলিখিত ফতোয়া জারি করা হয়েছে যাতে তৃণমূল নেতারা কোনও হোটেল ভাড়া না পান। তৃণমূলকে ঘুরপথে জব্দ করার চেষ্টা চালাচ্ছে বিজেপি। হোটেল মালিককে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ত্রিপুরার শাসক দল বিজেপির বিরুদ্ধে।
হোটেলে গিয়ে বিধায়ককে বের করে দেওয়ার হুমকি
ত্রিপুরার তৃণমূলের হয়ে প্রচার করতে গিয়েছিলেন বাংলার তৃণমূল বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ। নির্বাচনী কাজের প্রয়োজনে তিনি তেলিয়ামুড়ার একটি হোটেলে রয়েছেন তিনি। অভিযোগ উঠেছে, ওই হোটেলের মহিলা মালিককে হুমকি দিচ্ছে বিজেপি। শুক্রবার রাতে দুষ্কৃতীরা হোটেলে গিয়ে বিধায়ককে বের করে দেওয়ার হুমকি দেয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
তৃণমূল নেতাদের যেন কোনও হোটেল না দেওয়া হয়
তৃণমূল এই ঘটনায় নিন্দায় সরব হয়েছে। তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, বাংলায় যখন নির্বাচন হল, তখন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা প্রতিদিন বাংলায় এসেছেন। বাংলায় তাঁরা ডেলি প্যাসেঞ্জারি করেছে একপ্রকার। তখন তাঁরা বাংলার বিভিন্ন হোটেলে থেকেছেন। তৃণমূল তখন এমন কোনও কাজ করেনি। আর বিজেপি ত্রিপুরায় হোটেলে হোটেলে হুমকি দিয়ে আসছে, যাতে তৃণমূল নেতাদের যেন কোনও হোটেল না দেওয়া হয়।
তৃণমূলকে আটকানো যাবে না বলে পাল্টা দেন কুণাল
কুণাল ঘোষের কথায়, আসল বিষয়টা হল ত্রিপুরায় বিজেপি ভয় পেয়েছে। তারা হারার ভয়ে ভীত। হেরে গিয়েছে বুঝতে পেরেই তারা এই ফতোয়া জারির রাস্তায় হেঁটেছে। তৃণমূল নেতা-কর্মীদের উপর হামলা করেই তারা ক্ষান্ত নন। তাঁরা হুমকি দেওয়া শুরু করেছেন হোটেল মালিকদেরও। তৃমমূল নেতারা যাতে বাংলা বা অন্য রাজ্য থেকে এসে ত্রিপুরায় হোটেল না পায়, তার চেষ্টা করছে। কিন্তু এভাবে তৃণমূলকে আটকানো যাবে না বলে পাল্টা দেন কুণাল ঘোষ।
বিজেপি ত্রিপুরার মানুষের কাছ থেকে দূরে সরে গিয়েছে
তৃণমূল নেতা তথা স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য আশিসলাল সিং বলেন, দলের পক্ষ থেকে জেলা পুলিশ সুপার, এসডিপিও ও একাধিক প্রশাসনিক কর্তাকে অভিযোগ জানানো হয়েছে। এ প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের বিষয়েও প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। বিজেপি ত্রিপুরার মানুষের কাছ থেকে দূরে সরে যেতে শুরু করেছে। তাই তারা এখন বিকল্প পন্থা অবলমন্বন করে ক্ষমতা ধরে রাখতে চাইছে।