শুধু শরিকে ভরসা নেই, আস্থা ভোটে বিজেপি চাইছে এনডিএ-র বাইরের এই দলগুলির সমর্থনও
বিজেপির আশা এনডিএ-র বাইরেও কিছু দল আস্থা ভোটে সরকারকে সমর্থন করবে।
প্রস্তুতি তুঙ্গে অনাস্থা ভোটের। একদিকে লোকসভায় বিজেপির চিফ হুইপ অনুরাগ ঠাকুর বিজেপির সব সাংসদকে ১৯ ও ২০ তারিখ লোকসভায় হাজির থাকার জন্য হুইপ জারি করেছেন। অপরদিকে বিরোধী শিবিড় থেকে স্বয়ং সোনিয়া গান্ধী হুমকি দিয়েছেন, 'কে বলেছে আমাদের কাছে উপযুক্ত সংখ্যা নেই?' তবে বিজেপির আশা এনডিএ সঙ্গীদের বাইরেও তারা সমর্থন পাবে।
শুক্রবার সকাল ১১টা থেকে শুরু হবে অনাস্থা নিয়ে আলোচনা, আর সন্ধ্যা ৬টা থেকে শুরু হবে ভোট। বিজেপির হাতে নিজেদের ২৭৩ জন সাংসদ ছাড়াও আছে শিবসেনা, আকালী দল, রামবিলাস পাসোয়ানের লোক জনশক্তি পার্টি, জনতা দল ইউনাইটেড ও অন্যান্য এনডিএ শরিকদের ভোট। তবে এর বাইরেও বেশ কিছু ছোট দল তাঁদের সমর্থন দেবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অনন্ত কুমার।
আসলে শিবসেনার মতো বিক্ষুব্ধ শরিকদের উপর খুব একটা আস্থা নেই বিজেপি শিবিড়ের। তাই এআইএডিএমকে ও বিজু জনতা দলের মতো কংগ্রেস বিরোধী দলগুলিকে নিজেদের দিকে টানার চেষ্টা চালাচ্ছে বিজেপি। যদিও বিজেডির লোকসভার নেতা ভর্ত্রুহরি মহতাব বলেছেন, 'আমরা বিরোধী আসনে আছি এবং আমরা বিতর্কে সরকারের বিরোধিতাই করব।'
এর বাইরে যে দলগুলি বিজেপি বা কংগ্রেস কোনও শিবিড়েই হাত মেলাতে রাজি নয়, তারা ভোটদান থেকে বিরত থাকলেও সংখ্যার দিক থেকে বিজেপিই লাভবান হবে বলে আশা করছে বিজেপি শিবিড়।
নবগঠিত তেলেঙ্গানা রাজ্যকে বিশেষ আর্থিক প্যাকেজ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি মোদী সরকার রাখেনি - এই অভিযোগেই সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছে চন্দ্রবাবু নাইডুর দল টিডিপি। তবে অনাস্থা আলোচনায় শুধু এই বিষয়টি নয়, বিজেপিকে অস্বস্তি ফেলতে বেশ কয়েকটি বিষয় তুলে আনা হবে অনাস্থা আলোচনায়। এরমধ্যে রয়েছে এসসি এসটি সম্প্রদায়ের মানুষদের উপর অত্যাচার, কর্মসংস্থান তৈরিতে সরকারের ব্যর্থতা, সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা, কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতির মতো বিষয়।
বিজেপির অবশ্য দাবি সেসব মোকাবিলার জন্য তৈরি তারা। ভরসা সেই নমো। অনন্ত কুমার জানিয়েছেন, 'গত চার বছরে একের পর এক বিধানসভা ভোটে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অভূতপূর্ব সমর্থন পেয়েছেন। ২১টি রাজ্যে আমরা সরকারে আছি। তারপরেও বিরোধীরা সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছে। গণতন্ত্রে তাদের সেই অধিকার অবশ্যই আছে। তবে আমরাও ১০০ শতাংশ নিশ্চিত বিশআল ব্যবধানে এই ভোটে আমরা জয়ী হব'।