কাশ্মীর, ঝাড়খণ্ডেও সরকার গড়া সম্ভব হবে, আশাবাদী বিজেপি
৮৭ আসনের জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভায় নিরঙ্কুশ গরিষ্ঠতা পেতে গেলে দরকার ৪৪টি আসন। আর ৮১ আসনের ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় দরকার ৪১টি আসন। বিজেপির দাবি, দুই রাজ্যেই তারা এককভাবে সরকার গড়তে পারবে। প্রসঙ্গত, দু'জায়গাতে পাঁচ দফায় ভোট নেওয়া হবে। প্রথম দফা অনুষ্ঠিত হবে ২৫ নভেম্বর। এর পর যথাক্রমে ২, ৯, ১৪ এবং ২০ ডিসেম্বর পরবর্তী পর্যায়গুলি অনুষ্ঠিত হবে। ফলাফল ঘোষিত হবে ২৩ ডিসেম্বর।
ঝাড়খণ্ড নিয়ে বিজেপি এতটাই আত্মবিশ্বাসী যে, দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ এখানে এককভাবে ভোটে লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কংগ্রেস-ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা সরকারের কাজে মানুষ খুবই বিরক্ত। দুর্নীতির অভিযোগে রাজ্য সরকার জর্জরিত। তাই দুর্নীতিমুক্ত ও সুদক্ষ সরকার উপহার দেওয়ার কথা বলে বাজিমাত করতে চাইছেন অমিত শাহ। ঝাড়খণ্ডে যে বিজেপি ভালো ফল করবে, সেটা মনে করছে কংগ্রেসও। তাই তারা ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার পাশাপাশি লালুপ্রসাদের রাষ্ট্রীয় জনতা দল ও নীতীশ কুমারের সংযুক্ত জনতা দলকেও পাশে পেতে মরিয়া। অর্থাৎ মহাজোট গড়ে বিজেপি-বিরোধী ভোটকে একত্র করাই কংগ্রেসের লক্ষ্য।
অন্যদিকে, কাশ্মীর নিয়েও বিজেপি আশাবাদী। যদিও নির্বাচনী পর্যবেক্ষকদের ধারণা, জম্মু এলাকায় বিজেপি ভালো ফল করবে। কিন্তু কাশ্মীর উপত্যকায় ততটা ভালো ফল হবে না তাদের। এখানে বরাবর পিডিপি ও ন্যাশনাল কংগ্রেসের প্রাধান্য। ভালো ভোটব্যাঙ্ক রয়েছে কংগ্রেসেরও। এ বারের বিধানসভা নির্বাচনেও বিজেপি সেখানে ভাগ বসাতে ততটা সক্ষম হবে না বলে মনে করা হচ্ছে।