মমতার ‘তরণী’ চেপেই ত্রিপুরা-যুদ্ধে কিস্তিমাত বিজেপির! লাল-দুর্গে ফুটল পদ্ম-মুকুল
টানা পাঁচটি নির্বাচনে ধরা–ছোঁয়ার বাইরে ছিল ত্রিপুরার বাম সরকার। বঙ্গের বাম সরকারের মতোই ত্রিপুরাতেও বামফ্রন্টের সরকার জগদ্দল পাহাড়ের মতো বসেছিল এতদিন।
টানা পাঁচটি নির্বাচনে ধরা-ছোঁয়ার বাইরে ছিল ত্রিপুরার বাম সরকার। বঙ্গের বাম সরকারের মতোই ত্রিপুরাতেও বামফ্রন্টের সরকার জগদ্দল পাহাড়ের মতো বসেছিল এতদিন। বিরোধী কংগ্রেস দাঁত ফোটাতে পারেনি এ রাজ্যেও। তাই তৃণমূল কংগ্রেস বাংলা ভাষী ত্রিপুরাতে পাড়ি দিয়েছিল পরিবর্তনের বার্তা নিয়ে। সেই ডাকে সাড়াও মিলেছিল।
[আরও পড়ুন:উত্তরপূর্বের সিংহভাগের দখল নিল বিজেপি, নিভল বামেরা, টিমটিম করে জ্বলছে কংগ্রেস ]
কিন্তু ছোট্ট একটি ভুল থেকেই মমতার তৈরি করা বৈতরণীর দখল নিয়ে নিল বিজেপি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর বিশ্বস্ত সৈনিক মুকুল রায়কে দায়িত্ব দিয়েছিলেন প্রতিবেশী রাজ্যের। সেইমতো কংগ্রেস ভাঙিয়ে বাড়ছিল তৃণমূল। পরিবর্তনের হাওয়া উঠতে শুরু করেছিল। ঠিক তখনই মুকুল রায়কে নিয়ে সমস্যায় পড়লেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিজেপিতে মুকুল রায়ের পা বাড়ানোর পরই প্রথম ক্ষতি হল ত্রিপুরার দলীয় সংগঠন তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়া। উত্তর-পূর্বের এ রাজ্যে পুরোটাই মুকুল রায়ের উপর নির্ভর করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তার খেসারত দিতে হল। তার সাজানো সংসার পুরোটাই ভেঙে নিয়ে চলে গেল বিজেপি। বিধানসভার বৈতরণী পার হওয়ার জন্য মমতার সাজানো তরণীতে চেপেই ড্যাং ড্যাং করে ত্রিপুরা দখল করে পশ্চিমবঙ্গের দিতে নজর ঘোরালো।
গত নির্বাচনে ৪৯টি আসনে জয়ী হয়েছিল শাসাক সিপিএম। আর বিরোধী কংগ্রেসের দখলে ছিল ১০টি আসন। তাঁদের মধ্যে ৬ জনকে ভাঙিয়ে তৃণমূলের যাত্রা শুরু হয়েছিল ২০১৬ সালে। পরিবর্তনের ধ্বজা তুলে তৃণমূল যখন তরতর করে বাড়ছে, তখনই মুকুল রায়ের প্রভাব কমতে থাকে দলে। এবং তিনি বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেন।
[আরও পড়ুন: বিজেপিকে রোখার চেষ্টা করেনি সিপিএম, কোন সমঝোতার বার্তা তৃণমূলের]
সেই সুযোগ নিয়েই ত্রিপুরায় তৃণমূলের ফাঁকা করা জমির পুরোটাই দখল করে নেয় বিজেপি। আর তাতেই বিজেপি রাস্তা পেয়ে যায় ত্রিপুরায় ক্ষমতা দখলের। সেই পথ ধরেই মানিকের সরকারের পতন ঘটে। ত্রিপুরায় নতুন যুগের সূচনা করে বিজেপি। শূন্য থেকে একবারে শিখরে চলে আসে বিজেপি। নতুন শক্তি পেয়েই তাই উজ্জ্বীবিত