ভারতের গণতন্ত্র বিদেশিদের প্রশংসা নির্ভর নয়! দেশকে অস্থির করতে চাইছে ভিনদেশি সেলিব্রিটিরা, বিস্ফোরক বিজেপি
কৃষক আন্দোলন (farmers protest) নিয়ে বিদেশি সেলিব্রিটিরা (foreign celebrities) দেশের পরিস্থিতি অস্থির করার চেষ্টা চালাচ্ছে। এদিন এমনটাই অভিযোগ করল শাসকদল বিজেপি (bjp)। এদিন বিজেপির তরফ থেকে দেশের কৃষক আন্দোলনে বিদেশি
কৃষক আন্দোলন (farmers protest) নিয়ে বিদেশি সেলিব্রিটিরা (foreign celebrities) দেশের পরিস্থিতি অস্থির করার চেষ্টা চালাচ্ছে। এদিন এমনটাই অভিযোগ করল শাসকদল বিজেপি (bjp)। এদিন বিজেপির তরফ থেকে দেশের কৃষক আন্দোলনে বিদেশি সেলিব্রিটিদের সমর্থনের সমালোচনা করা হয়েছে। বিজেপি বলেছে, দেশের গণতন্ত্র বিদেশিদের প্রশংসা নির্ভর নয়।
রেলের ইতিহাসে সব থেকে বেশি বরাদ্দ বাংলায়! প্রকল্পের দেরিতে দায়ী রাজ্য, বিস্ফোরক রেলমন্ত্রী
কৃষক আন্দোলনে পাশে যেসব বিদেশি
ইতিমধ্যেই যেসব বিদেশি কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন করেছেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন বিশ্খ্যাত পপস্টার রিহানা, পরিবেশকর্মনী গ্রিটা যানবার্গ, কমলা হ্যারিসের ভাইঝি মিনা। এই অবস্থায় গ্রিটার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে দিল্লি পুলিশ। এই পরিবেশবিদের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, জাতি ও ধর্মের ভিত্তিতে বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মধ্যে শত্রুতা উসকে দেওয়ার মতো একাধিক গুরুতর ধারায় এফআইআর দায়ের করেছে দিল্লি পুলিশ। তিনি টুইট করে বলেছেন তিনি এই কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন করেন। বৃহত্তর আন্দোলনের প্রস্তুতির কথাও জানিয়েছেন তিনি। চলতি বছরে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হওয়া গ্রিটা সারা বিশ্বে তাঁর ফলোয়ারদের উদ্দেশে বলেছেন, ১৩ ও ১৪ ফেব্রুয়ারি সব ভারতীয় দূতাবাসের সামনে প্রতিবাদ কর্মসূচির আয়োজন করুন।
চক্রান্তের অভিযোগ ভারতের
এব্যাপারে চক্রান্তের অভিযোগ তুলেছে ভারত। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব ভারত সরকারের অবস্থান জানিয়েছেন। এব্যাপারে বুধবার সরকারের সমর্থনে এগিয়ে এসেছেন সচিন, সৌরভ থেকে শুরু করে বিরাট কোহলি, লতা মঙ্গেশকরের মতো বিশ্বখ্যাত ভারতীয়রা। সোশ্যাল মিডিয়ায় কৃষক আন্দোলন সংক্রান্ত পোস্টের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে টুইটারকে নোটিশ দিয়েছে ভারত সরকার।
ভারতের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ
এদিন দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে করা এক সাংবাদিক সম্মেলনে দলের মুখপাত্র গৌরব ভাটিয়া বলেছেন, এটা একটা গণতান্ত্রিক বিক্ষোভ। কিন্তু বিদেশিরা এব্যাপারে ভারতের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করছেন। ভারতের গণতন্ত্রের কোনও বিদেশি সার্টিফিকেটের প্রয়োজন নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি। যদি এরা দেশকে দুর্বল করার চেষ্টা করেন, তা নেমে নেওয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে বিজেপির তরফে। সারা দেশ একত্রিত হয়ে বিদেশি শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করবে বলে জানিয়েছেন ওই বিজেপি নেতা।
কংগ্রেসের প্রতি আবেদন
বিরোধী
দল
বিশেষ
করে
কংগ্রেসের
প্রতি
তিনি
আবেদন
জানিয়ে
বলেছেন,
ভারত
শক্তিশালী
থাকলেই
তাদের
অস্তিত্ব
থাকবে।
একই
ধরনের
প্রতিক্রিয়া
জানিয়ে
বিজেপির
আইটি
সেলের
প্রধান
অমিত
মালব্য
বলেছেন,
এটা
অবজ্ঞার
বিষয়
নয়।
এটা
এমন
একটা
বিষয়,
যেখানে
থানবার্গের
মতো
ব্যক্তিরা
অংশ
নিয়েছেন।
ভারতের
সংসদে
গৃহীত
কোনও
আইন
সম্পর্কে
হস্তক্ষেপ
করার
কোনও
অধিকার
তাদের
নেই।
ভারতকে
অস্থির
করতে
এটি
একটি
বড়
নকসা
বলেও
অভিযোগ
করেছেন
গৌরব
ভাটিয়া।
কৃষকদের
সমর্থনে
থানবার্গের
টুইটে
টুল
কিট
সম্পর্কে
তিনি
বলেছেন
এটি
একটি
নৈরাজ্যের
স্কুল
কিট।
প্রসঙ্গত
উল্লেখ্য
গত
প্রায়
দুমাসের
বেশি
সময়
ধরে
দিল্লির
সীমান্তে
কেন্দ্রীয়
সরকারের
তিনটি
কৃষি
আইনের
বিরুদ্ধে
বিক্ষোভ
দেখিয়ে
আসছেন
পঞ্জাব,
হরিয়ানা
এবং
পশ্চিম
উত্তর
প্রদেশের
কৃষকদের
একটা
বড়
অংশ।