গান্ধী পরিবারের উপর থেকে এসপিজি নিরাপত্তা তুলে নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ কংগ্রেস নেতা আহমেদ প্যাটেল
গান্ধী পরিবারের উপর থেকে এসপিজি নিরাপত্তা তুলে নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ কংগ্রেস নেতা আহমেদ প্যাটেল
গত অগাস্টে ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের এসপিজি নিরাপত্তা বেষ্টনী তুলে নেওয়ার পর এবার ইন্দিরা পরিবারের বাকি সদস্যদের উপর থেকেও এসপিজি নিরাপত্তা তুলে নেওয়ার ঘোষণা করেছে মোদী সরকার। রাহুল গান্ধী, সোনিয়া গান্ধী এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর বিশেষ সুরক্ষা ব্যবস্থা প্রত্যাহারের জন্য শুক্রবার কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে তীব্র ভাষায় কটাক্ষ করতে দেখা গেল কংগ্রেসকে।
"চূড়ান্ত ব্যক্তিগত প্রতিশোধ" স্পৃহা থেকেই গেরুয়া বাহিনীর এই কাজ করেছে বলেও মন্তব্য করতে দেখা যায় কংগ্রেস নেতাদের। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিরূপ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে প্রবীণ কংগ্রেস নেতা ও রাজ্যসভার সাংসদ আহমেদ প্যাটেল বলেন, "বিজেপি দুই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের সদস্যদের জীবনের সঙ্গে আপস করছে।"
এদিকে ইতিহাসের পাতায় চোখ রাখলেই দেখা যায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ইস্যুতে দীর্ঘদিন ধরেই সন্ত্রাসবাদীদের নিশানা হয়েছে গান্ধী পরিবার। সন্ত্রাসবাদীদের আত্মঘাতী বোমা হামলায় প্রাণ হারান সোনিয়া গান্ধীর স্বামী তথা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী। কংগ্রেসের নেত্রী তথা অপর এক প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকেও হত্যা করেছিলতাঁর শিখ দেহরক্ষীরা ।
কি আছে এই এসপিজি নিরাপত্তায় ?
ইন্দিরা গান্ধী হত্যার পরেই প্রধানত স্পেশাল প্রোটেকশন গ্রুপ বা এসপিজির প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হয়। ১৯৮৮ সালে ভারতীয় সংসদ দ্বারা প্রণীত এই এসপিজি আইনটিতে প্রাথমিকভাবে কেবলমাত্র প্রধানমন্ত্রী এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকেই সুরক্ষা দেওয়ার কথা বলা ছিল। পরবর্তীকালে রাজীব গান্ধীর হত্যার পরে এই আইনটি সংশোধন করা হয়। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর নিকটাত্মীয় পরিবারের সদস্যদের এই বিশেষ নিরাপত্তা বেষ্টনীতে অন্তর্ভুক্ত করার স্বার্থেই মূলত এই আইনটির সংশোধন করা হয়। আগামীতে যা সোনিয়া গান্ধী এবং তাঁর সন্তানদের এসপিজি নিরাপত্তা পাওয়ার পথকেও প্রশস্ত করে।
গত ২৮ বছরে এই প্রথম গান্ধী পরিবার বর্তমানে এসপিজি সুরক্ষা ছাড়াই থাকবে। সম্প্রতি বিজেপি সরকার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের উপর থেকেও এসপিজি সুরক্ষা তুলে নেয়। বর্তমানে দেশের মধ্যে একমাত্র প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীই কেবল এসপিজি কমান্ডোদের দ্বারা সুরক্ষিত ব্যক্তি।