ত্রিপুরায় কংগ্রেসের জঙ্গি যোগের অভিযোগ! তৃতীয় দফার নির্বাচনের আগে বিস্ফোরক বিজেপি
জঙ্গি সংগঠন এনএলএফটি পূর্ব ত্রিপুরা আসনে কংগ্রেসের হয়ে প্রচার চালিয়েছে। এমনটাই অভিযোগ তুলল বিজেপি।
জঙ্গি সংগঠন এনএলএফটি পূর্ব ত্রিপুরা আসনে কংগ্রেসের হয়ে প্রচার চালিয়েছে। এমনটাই অভিযোগ তুলল বিজেপি। নিরাপত্তা ভোটের সহায়ক নয়, এই তথ্য সামনে রেখে পূর্ব ত্রিপুরা আসনের ভোট ১৮ এপ্রিল থেকে পিছিয়ে ২৩ এপ্রিল করে দেওয়া হয়। এপ্রসঙ্গে বলে রাখা ভাল এিপুরার মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক শ্রীরাম তরণীকান্তি, বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক মৃণালকান্তি দাস( মনিপুরের প্রাক্তন ডিজিপি) এবং রিটার্নিং অফিসার এবং অন্য গোয়েন্দা সংস্থাগুলির দেওয়া তথ্যের ওপর নির্ভর করে এই আসনের নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
ত্রিপুরার মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক শ্রীরাম তরণীকান্তি বলেছেন, তার অফিসে বিজেপির তরফে একটি অভিযোগ জমা দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ পত্রে কংগ্রেসের হয়ে এনএলএফটির( ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট অফ ত্রিপুরা) প্রচারের অভিযোগ তোলা হয়েছে। তিনি বলেছেন, পর্যবেক্ষণের পর এবিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিজেপি মুখপত্র নবেন্দু ভট্টাচার্য দাবি করেছেন, এনএলএফটির স্বঘোষিত সম্পাদক উৎপল দেববর্মা ওরফে উথাই মানুষের কাছে কংগ্রেসকে ভোট দিতে আহ্বান জানিয়েছেন। সেই প্রমাণ বিজেপির কাছে রয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি। বিজেপি মুখপত্র আরও দাবি করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদ্যোত মানিক্যকে রঞ্জিত দেববর্মার সঙ্গে কথা বলতে দেখা গিয়েছে। রঞ্জিত দেববর্মা ত্রিপুরার অপর জঙ্গি সংগঠন অল ত্রিপুরা টাইগার ফোর্স( এটিটিএফ)-এর প্রধান। তিনি দীর্ঘদিন আত্মগোপন করে ছিলেন বলে জানিয়েছে বিজেপি।
যদিও কংগ্রেস সহ সভাপতি তাপস দাস দাবি করেছেন, বিজেপির দাবি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। কংগ্রেসের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে বলেও দাবি করেছেন তিনি।
এদিকে, মঙ্গলবার ত্রিপুরার একটি মাত্র আসনে নির্বাতনের জন্য কড়া নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করেছে নির্বাচন কমিশন। প্রায় ৯৩০০ আধাসামরিক বাহিনীর জওয়ানকে নামানো হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনীর ৫,৩০০ জওয়ান এবং ত্রিপুরা স্টেট রাইফেলসের ৪ হাজার জওয়ান।