মুখ্যমন্ত্রী পদে উঁচু জাতের প্রার্থী নির্বাচনই কাল হয়েছে বিজেপির?
মুখ্যমন্ত্রী পদে উঁচু জাতের প্রার্থীকেই পছন্দ করছে বিজেপি। মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা এবং ঝাড়খণ্ড তিন রাজ্যেই একই প্রবণতা দেখা গিয়েছে বিজেপির।
মুখ্যমন্ত্রী পদে উঁচু জাতের প্রার্থীকেই পছন্দ করছে বিজেপি। মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা এবং ঝাড়খণ্ড তিন রাজ্যেই একই প্রবণতা দেখা গিয়েছে বিজেপির। আর সেটাই মেনে নিতে পারেনি আদিবাসী অধ্যুষিত ঝাড়খণ্ড। এবার ঝাড়খণ্ড মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে রঘুবর দাসকে বেছেছিল বিজেপি। ২০১৪ সালে রঘুবর দাসের নেতৃত্বেই সরকার গড়েছিল ঝাড়খণ্ডে। তার ফল যে ভাল হয়নি সেটা পাঁচ বছর পরেই বুঝতে পেরেছে গেরুয়া শিবির।
সেই উচ্চ জাতের থিওরিতেই মহারাষ্ট্রেও মুখ্যমন্ত্রী পদে দেবেন্দ্র ফড়নবীশকে বসিয়েছিল বিজেপি। ব্রাহ্মণ ফড়নবীশকে পাঁচ বছর পরেই ফিরিয়ে দিয়েছে মহারাষ্ট্রের ভোটার। হরিয়ানাতেও একইভাবে মনোহর লাল খট্টরকেই মুখ্যমন্ত্রী পদে বেছেছে বিজেপি। উঁচু জাতের নেতা। কানের পাশ দিয়ে বেরিয়ে গিয়েছে জয়। হরিয়ানা পারলেও মহারাষ্ট্র আর ঝাড়খণ্ডে তা সফল হয়নি।
উত্তর প্রদেশের ক্ষেত্রেও একই সূত্রে উঁচু জাতের যোগী আদিত্যনাথকে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসিয়েছে বিজেপি। রাজ্য মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার মতো অন্য নেতাও কিন্তু ছিলেন। কিন্তু শুধুমাত্র উঁচু জাতের কারণে পদ পেয়েছন যোগী আদিত্যনাথ। বিজেপির এই ফরমুলা যে আদতে ভারতের রাজনীতিতে তেমন গ্রহন যোগ্য নয় তা প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। কারণ উঁচু জাতের নেতার থেকে অনেক বেশি গ্রহন যোগ্য হয় নীচু জাতের নেতা। যেমনটা রাজস্থানে হয়েছে। ওবিসি সম্প্রদায়ের অশোক গেহলটকে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসিয়েছে কংগ্রেস।