তীব্র বাতাসে ভেঙেছে সেতু, আইএএস অফিসারের বক্তব্যে চমকে গিয়েছে নিতিন গড়করি
তীব্র হাওয়ার প্রভাবে নাকি আস্ত একটি সেতু ভেঙে গিয়েছে। এবার এমন উত্তর শুনে রীতিমতো চমকে উঠলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গড়কড়ি৷ হাওয়ায় সেতু ভাঙার দাবি যিনি করছেন, তিনিও যে সে লোক নন ;আইএএস আধিকারিক। সোমবার এমন ঘটনার কথা নিজেমুখেই জানালেন নিতিন।

কেন চমকে গিয়েছেন দেশের পরিবহনমন্ত্রী?
গত ২৯ এপ্রিলে বিহারের সুলতানগঞ্জে একটি নির্মীয়মান সেতু ভেঙে পড়েছে। জানা গিয়েছে সেই সময় ঝড় উঠেছিল, তখনই ভেঙে পড়ে সেতুটি। সোমবার এই বিষয়ে গড়কড়ি বলেন, '২৯ এপ্রিল সেতুটি ভেঙে পড়ার পর আমি সচিবকে প্রশ্ন করি এর কারন নিয়ে। তিনি উত্তর দেন, তীব্র হাওয়া চলাচলের জন্য এমনটা ঘটেছে। আমার মাথায় ঢোকেনি, সামান্য হাওয়া চলাচলের জন্য কীভাবে সেতু ভেঙে পড়তে পারে? নিশ্চয়ই নির্মানে কোনও গলদ রয়েছে। সেতু বানানোর জন্য নিম্নমানের কাঁচামাল ব্যবহারের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। এই মুহূর্তে তদন্ত চলছে, শীঘ্রই সত্য সামনে আসবে৷ এরকম কীভাবে হতে পারে যে ১৭১০ কোটি টাকার একটি সেতু ঝড়ে পড়ে গিয়েছে!'

কমাতে হবে সড়ক তৈরির খরচ, কিন্তু মান সঠিক রেখে!
কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সড়ক পরিবহন এবং হাইওয়ে মন্ত্রী নিতিন গড়কড়ি মাঝেমাঝেই সড়ক তথা হাইওয়ের মান নিয়ে কথা বলতে শোনা যায় তাঁকে। সোমবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি৷ বিহারের ঘটনা নিয়ে বলার সময়ই তিনি বলেন, সড়ক বানানোর খরচ আরও কমাতে হবে। তবে তাতে রাস্তার মান যাতে না কমে যায়, নজর রাখতে হবে।

সেতু ভেঙে পড়ায় দ্রুত তদন্তের দাবি!
২০১৪ সালে শুরু হয়েছিল এই সেতু নির্মান৷ গঙ্গার ওপর সুলতানগঞ্জ এবং আগুনি ঘাট সংযোগকারী সেতুটির কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০১৯ সালে। তবে এখনও সেই কাজ চলছে। সম্প্রতি সেতুটি ভেঙে পড়ায় কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি ঠিকই। তবে সুলতানগঞ্জের বিধায়ক ললিত নারায়ন মন্ডল মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের কাছে দ্রুত তদন্তের দাবি করেছেন৷

খুব শীঘ্রই গোটা রাজ্যেই উঠবে AFSPA! অসমে দাঁড়িয়েই বড় বার্তা অমিত শাহের