বিহারে প্রবল বন্যা : 'ভাগ্যবান বিহারবাসী বাড়িতে বসেই গঙ্গা জল পাচ্ছে', উক্তি লালু যাদবের
পাটনা, ২৫ অগাস্ট : প্রবল বন্যায় ভেসে গিয়েছে বিহারের একাধিক জেলা। বৃষ্টির কারণে এই বন্যা হয়নি। হয়েছে গঙ্গার জল বিপদসীমার ২৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়ার কারণে। গঙ্গার জল জেলার পর জেলা ভাসিয়ে দিয়েছে বিহারের। রাজ্যকে সাহায্যের আর্জি নিয়ে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারের কাছে পর্যন্ত ছুটেছেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার সরকার। [শুখা বিহারে 'তাড়ি' খাওয়ার পরামর্শ লালু যাদবের]
এদিকে রাজ্যে বসেই বিহারের বন্যা নিয়ে আলপটকা মন্তব্য করে বিপদে পড়লেন রাজ্যের জেডিইউ সরকারের শরিক আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদ যাদব। বিহারের বন্যা নিয়ে লালুর মন্তব্য, "রাজ্যবাসী ভাগ্যবান যে ঘরের দরজায় দাঁড়িয়েই গঙ্গার জল পাচ্ছেন।" [বিহারে মদের আইন ভাঙায় জরিমানা গোটা গ্রামের!]
গত সোমবাহর এই মন্তব্য করেছেন আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদ যাদব। বন্যাপীড়িতদের লালু বলেন, "তোমরা ভাগ্যবান, সকলে বাড়িতে বসেই গঙ্গাজল পাচ্ছো। এটা সবসময় ঘটে না। সবসময় গঙ্গার কাছে তোমাদের যেতে হয়।" [স্ত্রীকে ছেড়ে 'প্রেমে পাগল' শাশুড়িকে বিয়ে করল এক যুবক]
এই মন্তব্যের পরই লালুর সমালোচনা শুরু হলেও মনে করা হচ্ছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারকেই ঘুরিয়ে সমালোচনা করেছেন লালু। মোদী সরকার একটি প্রকল্পের মাধ্যমে বাড়িতে বসে পোস্টের মাধ্যমেই গঙ্গাজল পাঠানো ব্যবস্থা করছে। সেই ভাবনাকেই সমালোচনা করে এহেন মন্তব্য লালু যাদবের। [বিহারে সাদা খাতা জমা দিয়েও পরীক্ষায় পাশ!]
বিহারে এবছর স্বাভাবিকের চেয়ে ১৪ শতাংশ কম বৃষ্টিপাত হয়েছে। তা সত্ত্বেও নেপাল, মধ্যপ্রদেশ ও ঝাড়খণ্ডে প্রবল বৃষ্টির কারণে বিহারে গঙ্গা অববাহিকার দু'পাশ ভেসে গিয়েছে। একদিকে মধ্যপ্রদেশে বান সাগর বাঁধ থেকে জল ছাড়া ও এদিকে ফারাক্কা বাঁধে আটকে যাওয়ায় বিহারে বন্য পরিস্থিতি ঘোরালো হয়ে উঠেছে।
প্রসঙ্গত, এবার বিহারে বন্যার কারণে বক্সার, আরাহ, ছাপরা, বৈশালী, পাটনা, বেগুসরাই, খাগারিয়া, সমস্তিপুর, মুঙ্গের ও ভাগলপুরের মতো জেলা প্লাবিত হয়েছে। ২০টির বেশি জেলা গঙ্গার জলে পুরো ডুবে গিয়েছে।