বিজেপির শরিক তিনি, তবু সিবিআই পিছু ছাড়ল না! কেন এমন হল, উত্তর খুঁজছেন নীতীশ
লালুর জেল-যাত্রার পর নীতীশ ঘাঁটি বদল করেছেন। দুর্নীতির প্রশ্নেই লালু-পুত্র তেজস্বীর বিরুদ্ধে বারবার নীতীশ গর্জে উঠেছিলেন তাঁর মন্ত্রিসভার দ্বিতীয় ব্যক্তি হওয়া সত্ত্বেও।
লালুর জেল-যাত্রার পর নীতীশ ঘাঁটি বদল করেছেন। দুর্নীতির প্রশ্নেই লালু-পুত্র তেজস্বীর বিরুদ্ধে বারবার নীতীশ গর্জে উঠেছিলেন তাঁর মন্ত্রিসভার দ্বিতীয় ব্যক্তি হওয়া সত্ত্বেও। তারপর আরজেডিকে ছেড়ে বিজেপির শরণ নিয়েছেন তিনি। ফের সরকারের মাথায় বসেছেন। তা সত্ত্বেও সিবিআইয়ের কোপ থেকে রক্ষা পেলেন না বিহারের মুখ্যমন্ত্রী।
নীতীশ এখন বুঝতে পারছেন না বিজেপির শরিক হয়েও কেন তাঁকে সিবিআইয়ের কোপে পড়তে হচ্ছে। তিনি এখন সেই উত্তর খুঁজে চলেছেন। প্রবোধ মানতে হচ্ছে একটা কথাতেই, এক্ষেত্রে মোদীর কোনও হাত নেই, সিবিআই তদন্তে নামতে বাধ্য হচ্ছে আদালতের নির্দেশে। বিশেষ আদালত এই নির্দেশ দিয়েছে।
লোকসভার নির্বাচন সামনেই তার আগে রাজনৈতিকভাবে চাপে পড়েছেন নীতীশ কুমার। বিজেপির সঙ্গহে জোট চূড়ান্ত। এখন দলের কাছে কৈফিয়ৎ দিতে হবে, কেন লোকসভার প্রাক্কালে তাঁদের সিবিআই তদন্তের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। রাজনৈতিক পারদ চড়ছে আদালতেক নির্দেশের পরই।
হঠাফ করে বিরোধীদের হাতে অস্ত্র উঠে এসেছে। এতদিন নীতীশও বিশ্বাস করতেন, আর যাই হোক তাঁর সরকারের কোনও দুর্নীতি প্রকাশ্যে আসেনি। কিন্তু সিবিআইয়ের তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু হলে প্রভাবশালীরা জেরারা মুখে পড়লে, অনেক কিছুই হতে পারে। অস্বস্তিতে পড়তে হতে পারে লোকসভার আগে। যে দুর্নীতি মামলাকে জোরদার করে লালুর দলকে ছেঁটে ফেলেছিলেন নীতীশ, তা আবার তাঁকে আক্রমণ করতে চলেছে। তাই নিয়ে আরজেডি কোমর বাঁধতে শুরু করেছে।
অস্বস্তি আরও এখানেই যে, নীতীশ কুমার ছাড়াও মুজফফরপুর জেলাশাসক ধর্মেন্দ্র সিং, সমাজকল্যাণ সচিব অতুল প্রসাদের বিরুদ্ধেও সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মজফফরপুর হোমকাণ্ডের তদন্তকারী অফিসারকে বদলি করার জন্য সিবিআই কর্তা নাগেশ্বর রাওকেও নজিরবিহীন শাস্তি দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি।