নীতীশকে পাশে বসিয়ে মোদী বুঝিয়ে দিলেন এনডিএ ছাড়া বিহারের গদি বাঁচানো মুশকিল! জল্পনা তুঙ্গে
নীতীশকে পাশে বসিয়ে মোদী বুঝিয়ে দিলেন এনডিএ ছাড়া বিহারের গতি বাঁচানো মুশকিল! জল্পনা তুঙ্গে
রাজনৈতিক পণ্ডিতদের দাবি ছিল, মহারাষ্ট্র থেকে শিক্ষা নিয়ে বিহারে দোফলা অস্ত্র নিয়ে বিজেপি ভোট যুদ্ধে নামছে। আর সেই কারণেই এলজেপিকে আলাদা রেখে, সরকার গড়ার ক্ষেত্রে 'প্ল্যান বি ' হাজির রেখেছে বিজেপি। তবে গেরুয়া শিবির সেই তত্ত্ব বারবার খারিজ করেছে। এমন পরিস্থিতিতে সাসারামে মোদীর প্রথম ঝোড়ো প্রচার বিহার রাজনীতি নিয়ে ফের জল্পনা বাড়াল।
বিহারের জনসভায় মোদী যা বলেন
এদিন বিহারের জনসভায় নীতীশ কুমার সরকারের শাসনকালের কেবলমাত্র শেষ ১৮ মাসেরই প্রশংসা উঠে আসে মোদীর কণ্ঠে। প্রসঙ্গত, এই শেষ ১৮ মাস এনডিএর সঙ্গে নিজেকে সংযুক্ত করে নীতীশের জেডিইউ। মোদী বলেন, কংগ্রেসে শাসিত ইউপিএর আমলে কোনওভাবেই উন্নয়নের কাজ করতে পারছিলেন না নীতীশ।' কিন্তু এনডিএ আসার পর কী হয়েছে গত ১৮ মাসে .. তা আর আমি নতুন করে বলছি না.. আপনারা জানেন..।'
'তখন আমি গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ছিলাম .. আর নীতীশ কুমার..'
এদিনের ভাষণে মোদী বলেন, এককালে তিনি যখন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তখন নীতীশ কুমার বিহারের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। সেই সময় কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউপিএর কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিটি বৈঠকে বিহারকে নিয়ে রাজনীতি থেকে কেন্দ্রকে বিরত থাকার জন্য কেন্দ্রকে আর্জি জানাতেন নীতীশ। এরপরই মোদী বলেন বিহারে নারী নিরাপত্তা থেকে বিদ্যুতের পরিস্থিতির বিকাশ হয়েছে কেবলমাত্র এনডিএর আমলে।
নীতীশ সরকার নয়, 'এনডিএ সরকার ' বারবার মোদীর কণ্ঠে এক সুর
এদিন , বিহারের জনসভায় কার্যত বিজেপির দাপট অক্ষুণ্ণ রেখে বক্তব্য রেখেছেন মোদী। এদিন 'অবকি বার নীতীশ সরকার' এর জায়গায় সচেতনভাবে মোদীকে বলতে শোনা গেল 'আবকি বার এনডিএ সরকার'। ফলে বিহারের প্রথম জনসভা থেকেই কার্যত মোদী স্পষ্ট করে দিলেন যে বিজেপি কতটা মুখিয়ে রয়েছে এখানে শাসক শিবিরে থাকা নিয়ে। ফলে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের 'এলজেপি ফ্যাক্টরের' তত্ত্ব ফের খবরে আসতে শুরু করেছে।
গদিতে থাকতে হলে এনডিএ ভরসা!
এদিন কার্যত নীতীশ কুমারের কাজের প্রশংসার পাশাপাশি, সভামঞ্চ থেকে মোদী স্পষ্ট করে বুঝিয় দিলেন, কেন্দ্রের ক্ষমতা বিজেপির অধীন এনডিএর হাতে রয়েছে বলেই বিহারে নীতীশ সরকার নিজের মতো করে উন্নয়ন করতে পারছে। যা গত কয়েক বছরে কেন্দ্রে কংগ্রেসের আমল থাকাকালীন করতে পারেনি নীতীশ সরকার। এদিন তিনি কথার প্যাঁচে এও স্পষ্ট করেছেন যে, কেন্দ্রের কংগ্রেস আমলে লালু-নীতীশের বিহার সরকার কাজকরতে পারেনি। ফলে ভোটের ফলাফলের পর মহারাষ্ট্রে শিবসনার ধাঁচে বিশ্বাসঘাতকতার রাস্তা যাতে জেডিইউ না নেয়, সেই বার্তা স্পষ্ট করেছেন মোদী।
রামবিলাস প্রসঙ্গ ও মোদী
এদিন সবার শুরুতেই রামবিলাস পাসওয়ান ও রঘুবংশ প্রসাদের প্রয়াণের প্রসঙ্গ তুলে তাঁদের শ্রদ্ধার্ঘ জানান মোদী। উল্লেখ্য, এলজেপিকে এর আগে বিজেপি জানায় যে তারা তাদের প্রচারে মোদীর ছবি ব্যবহার করতে পারবে না। তবে রামবিলাস পুত্র এলজেপি নেতা চিরাগ নিজের বিভিন্ন মন্তব্যে মোদীর প্রসঙ্গ তুলে ও তাঁকে সমর্থন জানিয়ে বক্তব্য রেখে ক্রমাগত মোদীকে সামনে রেখে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। এদিন তার পাল্টা হিসাবে , কার্যত এলজেপির প্রতিষ্ঠাতা রামবিলাস পাসওয়ানের প্রতি মানুষের আবেগকে ছুঁয়ে গেলেন মোদী। বিহারের প্রথম জনসভাতেই রামবিলাসের প্রতি জানালেন শ্রদ্ধাবার্তা। এমনই কিছু টুকরো টুকরো ছবি এদিন মোদীর ভাবধারাকে স্পষ্ট করেছে বলে মত ওয়াকিবহালমহলের।
'কাশ্মীরে বিরোধীরা ৩৭০ ধারা লাগু করতে চাইছে.. এটা শহিদদের অপমান' বিহার থেকে দৃপ্তকণ্ঠে বার্তা মোদীর