কোভিডে মৃত্যুর তথ্যে বড়সড় গরমিল, প্রায় ২ লক্ষের হিসেব কমে ৪ হাজারে নেমে যাওয়ায় উঠছে প্রশ্ন
লুকানো হচ্ছে করোনায় মৃতের সংখ্যা, প্রশ্নের মুখে মধ্যপ্রদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রক
বর্তমানে
দেশে
কোভিডের
দৈনিক
গ্রাফ
অনেকটাই
নামলে
কিছুতেই
স্বস্তি
দিচ্ছে
না
মৃত্যুহার।
এদিকে
ফের
রাজ্যে
রাজ্যে
কোভিড
পরিসংখ্যানে
উঠে
আসছে
একাধিক
গোলযোগের
কথা।
কয়েকদিন
আগে
বিহারে
কোভিড
পরিসংখ্যান
সংশোধনের
পর
একধাক্কায়
মৃতের
সংখ্যা
প্রায়
৬
হাজার
বেড়ে
যায়।
কমবেশি
একইচিত্র
দেখা
যায়
আরও
বেশ
কয়েকটি
রাজ্যে।
এবার
সেই
তালিকায়
নবতম
সংযোজন
মধ্যপ্রদেশ।
ওয়াকবিহাল মহলের ধারণা, করোনার প্রথম পর্বের তুলনায় অনেক বেশি সংখ্যক মানুষের মৃত্যু হয় কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ে। বর্তমানে মধ্যপ্রদেশে করোনায় মৃত্যুর যে পরিসংখ্যান সামনে আনা হচ্ছে তা দেখা যাচ্ছে সরকারি পরিসংখ্যানে যে পরিমাণ মানুষের মৃত্যুর কথা বলা হচ্ছে আদপে বাস্তবিক ভাবে তা তিনগুণেরও বেশি। সহজ কথায় লুকানো হচ্ছে করোনায় মৃতের সংখ্যা! স্বাস্থ্য দফতর থেকে যে পরিসংখ্যান বের করা হচ্ছে, তাতে গরমিল রয়েছে বলে অভিযোগ।
এদিকে রাজ্যের সিভিল রেজিস্ট্রেশন সিস্টেমের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, ২০১৮ ও ২০১৯ সালের এপ্রিল-মে মাসের সময়ে মধ্যপ্রদেশে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৫৯ হাজার জনের। এরপর সেই সংখ্যাটি পৌঁছে যায় ২.৩ লাখে। অর্থাৎ করোনাকালে যা প্রায় ২৯০ শতাংশ বেশি। যার মধ্যে ১.৭৪ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়েছে কেবল গত বছরের মে মাসে। আর এখানেই দানা বাঁধে রহস্য।
পিছু ছাড়েনি বিতর্ক, অবশেষে তৈরির ৫ দিনের মধ্যে ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হল করোনা মাতার মন্দির
কিন্তু সরকারি পরিসংখ্যানে এর কোনও উল্লেখ নেই বলে জানা যাচ্ছে। মধ্যপ্রদেশের স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া বুলেটিন অনুযায়ী মৃতের সংখ্যা এপ্রিল-মে মাসে প্রায় ৪ হাজার ১০০ জন। যদিও এর আগে গত এপ্রিল মাসে শুধু ভোপালের বিভিন্ন শ্মশান ও সমাধিক্ষেত্র থেকে পাওয়া তথ্যানুযায়ী, ওই মাসে কোভিডে মারা গিয়েছেন ৩ হাজার ৮১১ জন। কিন্তু ভোপাল জেলার সরকারি হিসাবে বলা হয় ওই মাসে ওই জেলায় কোভিডে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ১০৪। এমতাবস্থায় করোনা পরিসংখ্যানে ওক বড় ফাঁক নজরে আসতেই প্রশ্নের মুখে পড়েছে মধ্যপ্রদেশ সরকারের ভূমিকা।