রাস্তায় ভিড় এড়াতে ও করোনার ছোঁয়া থেকে বাঁচতে সাইকেল বিকল্প পদ্ধতি হতে পারে
রাস্তায় ভিড় এড়াতে ও করোনার ছোঁয়া থেকে বাঁচতে সাইকেল বিকল্প পদ্ধতি হতে পারে
দেশের বিভিন্ন রাজ্য প্রায় ৭০ দিনের লকডাউনের পর এবার ধীরে ধীরে স্বাভাবিকের পথে এগোচ্ছে। করোনা ভাইরাস সংক্রমণের জেরে দেশে লকডাউনের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু দেখা গিয়েছে, দেশে ক্রমাগত করোনা ভাইরাস সংক্রমণের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে যার জন্য গণ পরিবহন ব্যবহার করার ঝুঁকি নিতে পারছেন না সাধারণ মানুষ।
সাইকেল ব্যবহার করুক নিত্য যাত্রী
অফিস কর্মী ও অন্যান্যরা ব্যক্তিগত বিকল্পের কথা ভাবছে এই সময়। একে তো করোনা সংক্রমণের সম্ভাবনা দ্বিতীয়ত রাস্তায় যানজটের কারণে অনেকেই নিজস্ব কোনও যানের কথা ভাবতে শুরু করেছে। এই বিপর্যয় মোকাবিলা করার জন্য নয়ডা সাইক্লিং ক্লাব কেন্দ্র সরকারকে আর্জি জানিয়েছে যে গাড়ি বা অন্য কোনও বিকল্প যান ব্যবহার না করে মানুষকে সাইকেল ব্যবহারে উৎসাহিত করার জন্য সচেতনতামূলক প্রচার চালানো হোক। নয়ডা সাইক্লিং ক্লাবের কর্ণধার অমন পুরি বলেন, ‘এই কঠিন সময়ে, যাত্রীদের উচিত আবার পুরনো অভ্যাসে ফিরে যাওয়া। একটু পরিবর্তনের জন্য ট্রাফিকের চাপ কমাতে, মানসিক ক্লান্তি দূর করে স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে ও দূষণের মাত্রা কমাতে এবং আমাদের নগর ও শহরের পুর্ননবীকরণ করতে আসুন সাইকেল ব্যবহার করি।'
পপ–আপ’ সাইক্লিং লেন
তিনি সুপারিশ করেছেন যে, কেন্দ্রকে স্বল্প-দূরত্বের ভ্রমণের বিকল্প হিসাবে গণ পরিবহন নেটওয়ার্কের পাশাপাশি দ্রুত ‘পপ-আপ' সাইক্লিং লেন তৈরির জন্য রাজ্য সরকারগুলিকে নির্দেশ দেওয়া উচিত। তিনি বলেন, ‘এই পপ-আপ সাইক্লিং লেনগুলি খুব কম সময়ের মধ্যে তৈরি হয়ে যায়। এই ধরণের পরিকাঠামো তৈরির জন্য কেবল পার্কিং স্পেস এবং ক্যারিজওয়ে লেনগুলির পুনরায় পরিকল্পনা করা দরকার। আমার বিশ্বাস আমাদের দেশের ৪০ শতাংশ পরিবারের কাছে একটা করে সাইকেল অবশ্যই রয়েছে। এই পরীক্ষার সময়ে রাজ্য সরকারের উচিত তাদের বিদ্যমান পরিকল্পনাগুলিকে প্রসারিত করে সকলকে সাইকেল ব্যবহার নিশ্চিত করার নির্দেশ দিক।'
সাইকেল নিরাপদ বিকল্প হতে পারে
হিরো মোটরস কোম্পানির চেয়ারম্যান ও এমজি পঙ্কজ এম মুঞ্জালেরও একই মত। তিনি এই প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি জানান, এ বিষয়ে সরকারের পর্যাপ্ত নীতি গ্রহণ করতে হবে। ঐতিহ্যময় সাইকেল বা ইলেকট্রিক সাইকেল উভয়ই দূষণ রোধ করতে ও মানুষকে শারীরিকভাবে সুস্থ রাখার সমাধান। তিনি বলেন, ‘কোভিড-১৯ সংক্রান্ত মৃত্যুতে যেখানে ফুসফুসের স্বাস্থ্যের অবস্থার অবনতি ঘটে, সেখানে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে পরিস্কার বাতাস তৎক্ষণাত উপকার দেবে। অনেক মানুষই গণ পরিবহন ব্যবহার করতে ভয় পাচ্ছে এই সময়। এই জাতীয় লোকদেরও পরিবহণের একটি বিকল্প পদ্ধতি প্রয়োজন যা নিরাপদ। পর্যাপ্ত নীতি ব্যবস্থা দ্বারা সমর্থিত হলে, ঐতিহ্যবাহী সাইকেলের পাশাপাশি ইলেকট্রিক সাইকেলগুলিও সমস্যার সমাধান করতে পারে।'
সাইকেল কেনার চাহিদা বেড়েছে
লকডাউনের সময়ই মানুষের মধ্যে সাইকেল কেনার হিড়িক দেখা গিয়েছিল। দামি স্পোর্টস সাইকেল থেকে শুরু করে সাধারণ সাইকেল সহ চাহিদা ছিল তুঙ্গে। কারণ এতে গণ পরিবহনের খরচ যেমন বাঁচে তেমনি করোনার ছোঁয়া থেকেও দূরে থাকা যায়। হিরো, বিএসএ এবং হারকিউলিস সাইকেলের পাশাপাশি টাটা, কসমিক, গোরার মতো স্থানীয় ও অপেক্ষাকৃত কম নামি সাইকেলের বিক্রিও বেড়েছে। হুও জানিয়েছে যে গুরুত্বপূর্ণ শারিরীক কসরতের মধ্যে সাইক্লিং অন্যতম। কোভিড-১৯ মহামারিতে নিজেকে সুস্থ রাখতে অবশ্যই সাইক্লিং করা প্রয়োজন।
কোন রক্তের গ্রুপের করোনা আক্রান্তদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা বেশি ? জেনে নিন কি বলছে গবেষণা