'ব্যর্থ ভারত বনধ, তবে হিংসার দায় কে নেবে', এমনই দাবি করে কংগ্রেসকে আক্রমণ রবিশঙ্কর প্রসাদের
বনধ নিয়ে পাল্টা সাংবাদিক সম্মেলন করে বিরোধীদের কটাক্ষ ছুঁড়ে দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ।
কংগ্রেস সহ বিরোধীরা সারা দেশে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বনধ পালন করছে। কেন্দ্রকে দিল্লির রামলীলা ময়দান থেকে কড়া আক্রমণ শানিয়েছেন রাহুল গান্ধীও। এমনকী সরকার বদলের ডাকও দিয়েছেন। আর সেই প্রেক্ষিতে পাল্টা সাংবাদিক সম্মেলন করে বিরোধীদের কটাক্ষ ছুঁড়ে দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ।
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেছেন, গণতন্ত্রে বিরোধিতা অবশ্যই থাকবে। বিপক্ষ দলের অবশ্যই অধিকার রয়েছে বিরোধিতার। তবে তার মানে এই নয় সারা দেশে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি করবে কংগ্রেস। তাদের সমর্থকদের তাণ্ডবে কোথাও গাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে, কোথাও রাস্তা অবরোধ করে বিশৃঙ্খলা তৈরি করা হচ্ছে। এটা কোনওভাবে মানা যায় না। কারণ সাধারণ মানুষ বিপদে পড়ছেন। এমনিতেই সাধারণ মানুষ সাময়িক সমস্যার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন। তার উপরে বিরোধীদের বনধে আরও হয়রানি বাড়ছে।
Everyone has a right to protest but what is happening today? Petrol pumps and buses being set ablaze, putting to risk lives. A child died after an ambulance was stuck in the protests in Bihar's Jehanabad. Who is responsible?: Ravi Shankar Prasad,Union Minister #BharatBandh pic.twitter.com/UfvTn2P84U
— ANI (@ANI) September 10, 2018
বিজেপির দাবি, কংগ্রেস সহ বিরোধীদের লোকবল নেই, জনসমর্থন নেই। তাই সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত ও হয়রানি করা হচ্ছে। সাধারণ মানুষ পেট্রোপণ্যের দাম নিয়ে সাময়িক দুশ্চিন্তায় রয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি চিন্তায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও তাঁর মন্ত্রিসভা রয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি সমস্যা কাটিয়ে উঠবে সরকার। তবে বিরোধের নামে কংগ্রেস যা করছে তা মানা যায় না।
রামলীলা ময়দানে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং কেন্দ্রকে দোষারোপ করেছেন। জিএসটি নিয়ে কেন্দ্রকে কাঠগড়ায় তুলেছেন। তার প্রেক্ষিতে পাল্টা রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেছেন, সংসদে আমি অর্থনীতিবিদ মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে তর্ক করতে রাজি আছি। লাভ ক্ষতি নিয়ে আলোচনা হোক। তবে মনমোহনজী যেন সভা থেকে আচমকা একটি দুটি ভাষণ দিয়ে সরে না যান। সংসদে মোকাবিলা করুন।
এর পাশাপাশি রাজ্য সরকারের উন্নয়নের খতিয়ানও রবিশঙ্করপ্রসাদ তুলে ধরেন। মুদ্রাস্ফীতি, আয়কর, আয়, জিএসটি, বীমা প্রকল্প সহ সমস্ত ক্ষেত্রে কেন্দ্র দেশহিতে কাজ করেছে চার বছরে। তাই আলাদা করে বিরোধীদের কাছ থেকে শংসাপত্রের প্রয়োজন নেই। দেশের জনতা জানেন, কেন্দ্রের জ্বালানি বাড়ানোর পিছনে হাত নেই। সরকার জনতার সঙ্গে রয়েছে। তাই মিথ্যার আশ্রয় না নিয়ে বিরোধীরা তথ্য নির্ভর রাজনীতি করুন, বলেছেন রবিশঙ্কর প্রসাদ।