দলিত আন্দোলন ঘিরে অব্যাহত হিংসা, মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ১০
তপশিলি জাতি ও উপজাতিদের নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনে বদল দলিতরা মেনে নিতে না পেরে আন্দোলনে নেমেছে। অশান্তির জেরে ইতিমধ্যে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১০।
তপশিলি জাতি ও উপজাতিদের নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনে বদল দলিতরা মেনে নিতে না পেরে আন্দোলনে নেমেছে। তার জেরে দেশের নানা প্রান্তে ভোগান্তির শেষ নেই। অশান্তির জেরে ইতিমধ্যে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১০। পাশাপাশি আহত হয়েছেন বহু মানুষ। ধ্বংস হয়েছে সরকারি ও বেসরকারি সম্পত্তি। ব্যাহত হয়েছে সাধারণ জনজীবন।
মধ্যপ্রদেশে ৬জন, উত্তরপ্রদেশে ২ জন ও রাজস্থানে ১ জনের এই হিংসাত্মক আন্দোলনের জেরে মৃত্যু হয়েছে। মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থানে এবছর বিধানসভা ভোট রয়েছে। তার মধ্যে দলিতদের এই আন্দোলন শাসক দল বিজেপির শিরে সংক্রান্তি দশা করে ছেড়েছে সন্দেহ নেই।
মহারাষ্ট্র থেকে বিহার, উত্তরপ্রদেশ থেকে মধ্যপ্রদেশ বিভিন্ন জায়গার এসসি-এসটি সম্প্রদায় একযোগে হিংসাত্মক আন্দোলনে শামিল হয়েছে। বাস ভাঙচুর, রাস্তা ও ট্রেন অবরোধ, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট সহ একাধিক অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনা হল, ১৯৮৯ সালের তপশিলি জাতি ও উপজাতি (অত্যাচার বিরোধী) আইনে কিছু সংশোধন এনেছে সর্বোচ্চ আদালত। গত মাসের শেষের দিকে সুপ্রিম কোর্ট সেই নতুন নির্দেশ দেয়। তারই প্রতিবাদে ভারত বনধের ডাক দেয় একাধিক দলিত সংগঠন। যার জেরে অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এর আগে সর্বভারতীয় এসসি-এসটি সংগঠনের তরফে মনোজ গোখেলা মুখ্য বিচারপতি দীপক মিশ্রর নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের বেঞ্চের কাছে রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানায়। রিট পিটিশন দাখিল করা হয়। এরপরে কেন্দ্রও রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েছে শীর্ষ আদালতে।