দীপাবলির এমন কিছু ছবি, যা এই মুহূর্তে বিশ্বজুড়ে আলোড়ন ফেলে দিয়েছে
দীপাবলি মানেই আলোর উৎসব। আর সেই উৎসব যে বিশ্বজোড়া খ্য়াতি পেয়েছে তাতে কোনও সন্দেহ নেই।
দীপাবলি মানেই আলোর উৎসব। আর সেই উৎসব যে বিশ্বজোড়া খ্য়াতি পেয়েছে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। বহু বছর ধরেই ভারতের দীপাবলি স্থান পেয়ে আসছে বিশ্বের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে। এবারও তার অন্যথা হয়নি।
অযোধ্যায় সরযূ নদীর তীরে জ্বালানো হয়েছিল ৩ লক্ষ প্রদীপ। যা এই মুহূর্তে গিনেস বুক ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে স্থান করে নিয়েছে। বিশ্ব রেকর্ড গড়া এই প্রদীপ প্রজ্বলনের ছবি এখন সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। প্রকাশ পেয়েছে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম থেকে শুরু করে সোশ্যাল মিডিয়ায়। আর তাই ভাইরাল হয়ে উঠেছে এখন।
৩ লক্ষেরও বেশি প্রদীপ
দীপাবলি উপলক্ষে এই অভিনব অনুষ্ঠানে ৩০১,১৫২টি মাটির প্রদীপ জ্বালানো হয়। যাতে অংশ নিয়েছিলেন কয়েক লক্ষ মানুষ। গোটা অযোধ্যা শহরকে মুড়ে দেওয়া হয়েছিল ৩ লক্ষেরও বেশি প্রদীপের আলোয়। প্রায় ৫ মিনিট ধরে সমস্ত প্রদীপকে একসঙ্গে জ্বালিয়ে রাখা হয়েছিল।
হরিয়াণার রেকর্ড ভাঙল অযোধ্যা
দীপাবলি-তে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক প্রদীপ জ্বালানোর রেকর্ড ছিল হরিয়াণার। ২০১৬ সালে হরিয়াণায় ১৫০,০০৯টি মাটির প্রদীপ জ্বালানো হয়েছিল। এটা ছিল একটি বিশ্বরেকর্ড। কিন্তু, উত্তর প্রদেশের অযোধ্যা এবার সেই রেকর্ড ভেঙে দিল।
লক্ষ্য ছিল অন্তত সাড়ে তিন লক্ষ প্রদীপ জ্বালানোর
অযোধ্যার সরযূ নদীর রাম কি পৈড়ি ঘাটের দুই তীরেই প্রদীপ জ্বালানোর উদ্দেশ্য ছিল। কিন্তু, শেষ মুহূর্তে ব্যবস্থাপনায় খানিক অসুবিধার কথা ভেবে কিছু প্রদীপ কম জ্বালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
বিশ্ব রেকর্ড গড়া এই উৎসবের নাম দীপোৎসব
অযোধ্যার সরযূ নদীর তীরে দীপাবলির এই উৎসবের নাম দেওয়া হয়েছিল দীপোৎসব। অনুষ্ঠানের উদ্য়োক্তা তথা গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস-এর অ্যাডজুড়িকেটর ঋষি নাথ জানান, সরযূ নদীর দুই তীরে এই উৎসবের আয়োজন-ই ছিল এক অনন্য রেকর্ড তৈরি করার জন্য।
বিশেষ অতিথি দক্ষিণ কোরিয়ার ফার্স্ট-লেডি
সরযূ নদীর তীরে এই দীপোৎসবে বিশেষ অতিথি হিসাবে ছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার ফার্স্ট-লেডি কিম-জাং-সুক। এছাড়াও ছিলেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। ছিলেন কেন্দ্রীয় বিদেশ প্রতিমন্ত্রী ভি কে সিং।
|
রাম কি পৈড়ি ঘাটের মায়াবি রূপ
প্রদীপের আলো তো ছিলই, তারসঙ্গে এলইডি-র মায়াবি আলোয় সরযূ নদীর দুই তীরকে মুড়ে দেওয়া হয়েছিল। এরপর নদীর পাড়ে প্রদীপ জ্বলে উঠতেই যেন রচিত হয়েছিল এক মায়াবি জগতের। আকাশ থেকে মনে হচ্ছিল যেন সরযূ নদীর দুই পাড়ে সোনার ঝলকানিতে জ্বল-জ্বল করছে। আর এরসঙ্গে এলইডি-র মৃদু-মন্দ আলো এক অপরূপ ছবি তৈরি করেছিল। আকাশপথে এই দীপোৎসবের এরিয়াল ছবিও তোলে উত্তর প্রদেশ সরকার। পরে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করা হয়।
আলোর লন্ঠন
উৎসবে হাজির সকল অতিথির হাতেই তুলে দেওয়া হয় আলোর লন্ঠন। দীপোৎসব-কে ঘিরে নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। মঙ্গোলিয়ান দেশগুলিতেও দীপাবলির আদলেই লন্ঠন উৎসব পালিত হয়। এই জন্য লাওস থেকে একদল শিল্পীকে এই উৎসবে আনা হয়েছিল। তাঁরাই এই লন্ঠন সব অতিথির হাতে তুলে দেন।
|
দুই অতিথির হাতে লাল লন্ঠন
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি দক্ষিণ কোরিয়ার ফার্স্ট লেডি কিম জুং সুক ও উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ-এর হাতে তুলে দেওয়া হয় লাল লন্ঠন। বাকি অতিথিদের হাতে তুলে দেওয়া হয় হলুদ লন্ঠন।
|
প্রকাণ্ড প্রদীপ
দীপোৎসব-কে ঘিরে সরযূ নদীর তীরে তৈরি করা হয়েছিল একটি প্রকাণ্ড প্রদীপ। যার আকৃতি বিশাল মশাল-এর মতো। এই প্রদীপের জ্বলন্ত শিখা যেন উৎসবের রঙ-কে আরও রাঙিয়ে তুলেছিল।
|
যেন আলোর মালায় গাঁথা ঘাট
রাতের অন্ধকারে যেন মর্ত্য ফুঁড়ে বেরিয়ে এসেছিল সরযূ নদীর রাম কি পৈড়ি ঘাটের রূপ। প্রদীপের সোনালি আলোয় এক অসামান্য ছবি তৈরি হয়েছিল।
সরযূ নদীর তীরে আরতি
অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট অতিথিদের সঙ্গে নিয়ে আরতি করেন যোগী আদিত্যনাথ। দীপাবলি উপলক্ষে অনুষ্ঠানে শাড়ি পড়ে এসেছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার ফার্স্ট লেডি।