কার্গিল বিজয়ে রক্ত আছে বাঙালিরও, টানা দু'মাস বরফ চাপা ছিল বঙ্গ-সন্তানের দেহ
কার্গিল বিজয়ে রক্ত আছে বাঙালিরও, টানা দু'মাস বরফ চাপা ছিল বঙ্গ-সন্তানের দেহ
২১ মে ১৯৯৯, টালার এক বাঙালি পরিবার বারবার ফোনের এ প্রান্ত থেকে হ্যালো, হ্যালো, হ্যালো করে যাচ্ছে৷ ফোনের ওপারে কাশ্মীরের দ্রাস সেক্টরে বসে থাকা ২৪ বছরের তরতাজা বাঙালি যুবকটিও হয়ত উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করছেন! কিন্তু না, ততক্ষণে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন! সেই শেষবারের মতো ভাগ্নের সঙ্গে কথা বলেছিলেন মামা বিনোদনবিহারী চক্রবর্তী।
আগুনের আর এক নাম ক্যাপ্টেন কণাদ ভট্টাচার্য
বরানগরের আয়কর অফিসার কমলাকান্ত ভট্টাচার্যের ছেলে কণাদ। ২২ বছর বয়সে CDS-এর OTA (অফিসার্স ট্রেনিং অ্যাকাডেমি) পরীক্ষায় পাশ করে সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। এর ঠিক দু'বছরের মাথায় ১৯৯৯-এ শিখ রেজিমেন্টের (ইউনিট - ৮) হয়ে কার্গিল যুদ্ধে ভাগ নেন।
২১ মে ১৯৯৯, কার্গিল যুদ্ধ, পয়েন্ট টাইগার হিল
কার্গিল
সীমান্তে
তখন
অস্থিরতা।
দ্রাস
সেক্টরে
টাইগারহিলের
সামনে
ভারতীয়
সেনাবাহিনীর
শিখ
রেজিমেন্ট।
সন্ধ্যের
মুখে
খবর
আসে
টাইগার
হিলের
উপরে
দখল
হয়ে
যাওয়া
ভারতীয়
সেনবাহিনীর
ক্যাম্প
পুনরুদ্ধার
করতে
হবে৷
রাতেয়
শুরু
হয়
অভিযান।
এই
টাইগার
হিলের
লড়াইয়েই
২১
মে
১৯৯৯
শহীদ
হন
কণাদ।
প্রায়
দু'মাস
পর
বরফের
মধ্যে
থেকে
তার
মৃত
শরীর
উদ্ধার
করে
ভারতীয়
সেনাবাহিনী।
১৫ই
জুলাই
বরফে
ঢাকা
কণাদের
গুলিবিদ্ধ
নিথর
দেহ
দেখতে
পায়
ভারতীয়
সেনাবাহিনী।
১৭ই
জুলাই
জাতীয়
পতাকায়
মুড়ে
কফিনবন্দী
সে
দেহ
এসে
পৌঁছায়
কলকাতায়
কণাদের
বাড়িতে।
কার্গিলের পাহাড়ের গায়ে লেগে আছে, এক বাঙালি ছেলের বীরত্বকাব্য!
পরের বছর মরণোত্তর সেনাপদকে সম্মানিত করা হয় এই বাঙালি সন্তানকে। কার্গিল যুদ্ধের সবচেয়ে কঠিন পয়েন্ট 'টাইগারহিলে' নিজের বীরগাথা লিখে রেখে গিয়েছেন কণাদ। পরের বার কার্গিল বেড়াতে গেলে নিজের ছোট্ট শিশুটিকে জানিয়ে দিন কণাদ ভট্টাচার্যের নাম। বলুন দূরে ওই পাহাড়গুলোর গায়ে লেগে আছে এক বাঙালি ছেলের বীরত্বকাব্য।