হোটেল বিলাস, মাসাজ, ওয়াটার স্কি-তে মজে এআইএডিএমকে বিধায়করা
গত দু'দিনে বলা যায় বিনিদ্র রজনী কাটিয়েছেন বিধায়কেরা। শশীর বিশ্বস্ত ১৩১ জম বিধায়ককে যাতে বিপক্ষ ভাঙিয়ে না যেতে পারে সেজন্য তাদের কয়েকটি দলে ভাগ করে বাসে চাপিয়ে বিলাসবহুল হোটেলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
চেন্নাই, ৯ ফেব্রুয়ারি : তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী পদে কে বসবেন তা এখনও ঠিক হয়নি। বলা যায় চূড়ান্ত দড়ি টানাটানি চলছে। তার মধ্যেই শশীকলা ঘনিষ্ঠ বিধায়করা বিলাসী জীবন কাটাচ্ছেন। বলা চলে কাটাতে বাধ্য হচ্ছেন।[জয়ার পয়েজ গার্ডেন হবে মেমোরিয়াল, শশীকে পাল্টা চাপ পন্নিরসেলবমের]
গত দু'দিনে বলা যায় বিনিদ্র রজনী কাটিয়েছেন বিধায়কেরা। শশীর বিশ্বস্ত ১৩১ জম বিধায়ককে যাতে বিপক্ষ ভাঙিয়ে না যেতে পারে সেজন্য তাদের কয়েকটি দলে ভাগ করে বাসে চাপিয়ে বিলাসবহুল হোটেলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।[শশীকলার যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন দক্ষিণী নায়ক কামাল হাসান]
এর মধ্যে একটি দল গিয়েছে, চেন্নাই থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরে মহাবলীপুরমে। সেখানে সমুদ্র সৈকতের ধারে বিলাসবহুল হোটেলে মাসাজ, ওয়াটার স্কি পরিষেবা সহযোগে বিধায়কদের খাতির করা হয়েছে।[শশীকলাকে মুখ্যমন্ত্রী হতে না দেওয়ার ষড়যন্ত্রে শামিল তামিলনাড়ুর রাজ্যপালও!]
তবে চেন্নাই থেকে বাসে মহাবলীপুরম যাওয়ার পথে এক বিধায়ক বাস থেকে নেমে বাথরুমে যাওয়ার নাম করে পালিয়ে যান। এসপি শনমুগানাথন নামে সেই বিধায়ক চেন্নাই ফিরে ও পন্নিরসেলবমের দলে নাম লিখিয়েছেন বলে খবর।
এদিকে গত রবিবার থেকে শশীকলা মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিতে চেয়ে রাজ্যপাল সি বিদ্যাসাগর রাওয়ের পথ চেয়ে বসে রয়েছেন। অবশেষে এদিন মুম্বই থেকে চেন্নাই ফেরার কথা তাঁর। এসে তিনি প্রথমে পন্নিরসেলবম ও পরে শশীকলার সঙ্গে কথা বলবেন।