ব্যাঙ্কের লকারে মূল্যবান জিনিসপত্র রয়েছে, তাহলে এখনই সাবধান হোন
লকারে থাকা মূল্যবান জিনিসপত্র খোয়া গেলে বা চুরি গেলে তার কোনও দায় ব্যাঙ্কের নয়, আরটিআই-এর জবাবে জানাল আরবিআই ও উনিশটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক
ব্যাঙ্কের লকারে থাকা জিনিসপত্র চুরি বা খোয়া গেলে তার দায় ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের নয়। সম্প্রতি একটি আরটিআই-এর জবাবে এমনই জানাল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া ও উনিশটি রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাঙ্ক। আরবিআই-এর কাছ থেকে এমন জবাব পেয়ে কম্পিটিশন কমিশন অফ ইন্ডিয়ার দ্বারস্থ হয়েছেন এক আইনজীবী।
আরটিআই বা তথ্য জানার আইনে কী জবাব দিয়েছে আরটিআই
আরবিআই
ও
উনিশটি
রাষ্ট্রায়াত্ত
ব্যাঙ্ক
জানিয়েছে,
সেফ
ডিপোজিট
লকার
ভাড়া
নেওয়ার
ক্ষেত্রে,
ব্য়াঙ্ক
কর্তৃপক্ষ
ও
গ্রাহকের
সম্পর্ক
বাড়িওয়ালা
ও
ভাড়াটের
মতই।
ঠিক
যেমন
ভাড়াটের
ঘরে
চুরি
হলে
বা
জিনিস
খোয়া
গেলে
বাড়িওয়ালার
কোনও
দায়
থাকে
না
একইভাবে
ব্যাঙ্কের
লকারে
থাকা
মূল্যবান
জিনিস
চুরি
বা
খোয়া
গেলেও
ব্যাঙ্ক
কর্তৃপক্ষের
কোনও
দায়
থাকে
না।
কিছু
ব্যাঙ্ক
তো
লকার
চুক্তিতে
এমনটা
স্পষ্ট
করেই
জানিয়ে
দেয়।
সাধারণত
লকার
নেওয়ার
ক্ষেত্রে
চুক্তিপত্রে
লেখা
থাকে,
যুদ্ধ,
আইন-শৃঙ্খলা
পরিস্থিতি,
চুরি
বা
অন্য
কোনওভাবে
লকারের
জিনিসপত্র
খোয়া
গেলে
ব্যাঙ্ক
কর্তৃপক্ষ
তার
কোনও
দায়
নেবে।
সেক্ষেত্রে
লকারের
জিনিসপত্রের
সব
দায়িত্ব
যিনি
লকার
ভাড়া
নিচ্ছেন
তাঁর
ওপরই
বর্তাবে।
যদিও
লকার
সুরক্ষিত
রাখতে
সবরকম
ব্যবস্থাই
করবে
ব্যাঙ্ক।
আরবিআই-এর
জবাবে
লকারের
জিনিসপত্রের
বিমা
করিয়ে
রাখার
পরামর্শও
দেওয়া
হয়েছে।
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ও উনিশটি রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাঙ্কের কাছে এই জবাব পেয়ে কম্পিটিশন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছেন আবেদনকারী আইনজীবী। তাঁর প্রশ্ন, জিনিসপত্র যদি বিমা করিয়েই রাখতে হয়, তাহলে লকারের জন্য ভাড়া গোনা কেন, বিমা করিয়ে মূল্যবান জিনিসপত্র বাড়িতেই তো রাখা যায়। কম্পিটিশন কমিশনের কাছে তাঁর অভিযোগ এভারে ব্যাঙ্কগুলি একটি ব্যবসায়িক সংগঠনে পরিণত হয়ে প্রতিযোগিতা বিরোধী কাজ সামিল হয়েছে। সেইসঙ্গে বিষয়টি নিয়ে তদন্তেরও আর্জি জানিয়েছেন তিনি।