'নিষেধাজ্ঞা উঠতে চলেছে, বাধ্যতামূলক হতে চলেছে ভ্রূণের লিঙ্গ পরীক্ষা'
জয়পুর, ২ ফেব্রুয়ারি : কণ্যাভ্রূণ হত্যা আটকাতে এবার পুরোপুরি উল্টো পথে হাঁটতে চলেছে। দুই দশকেপ পুরনো মানসিকতাকে ভেঙে এবার ভ্রূণের লিঙ্গ পরীক্ষার উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলতে চলেছে এবং এই পরীক্ষাকে বাধ্যতামূলক করা হতে পারে বলেও জানিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় নারী এবং শিশুকল্যাণ মন্ত্রী মানেকা গান্ধী। [কণ্যা ভ্রূণ হত্যা রুখতে এবার গোয়েন্দার সাহায্য নেবে পাঞ্জাব সরকার]
মানেকা গান্ধী জানিয়েছেন, "এই প্রস্তাবটি এখনও ক্যাবিনেটে আলোচনাসাপেক্ষ। তবে এই পদ্ধতিতে কণ্যাভ্রূণ হত্যা চেষ্টার সংখ্যা এবং কোন পরিবারে হচ্ছে তা 'ট্র্যাক' করা সম্ভব হবে।" পাশাপাশি তিনি এও জানান, "যারা ভ্রূণের লিঙ্গ পরীক্ষার জন্য নাম নথিভূক্ত করাবেন তাদের মধ্যে কারোর গর্ভপাত কারনো হলে মেডিক্যাল সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে বা গর্ভাবস্থার বিনষ্টকরণের নির্দিষ্ট গ্রহণযোগ্য কারণ জানাতে হবে।"
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কথায়, "আমার ব্যক্তিগত ধারণা, মহিলাদের বাধ্যতামূলকভাবে জানানো উচিত যে তিনি কন্যাসন্তান নাকি পুত্র সন্তানের জন্ম দিতে চলেছেন। এছাড়া এই ভ্রূণের লিঙ্গ নির্ধারণ পরীক্ষার জন্য নাম নথিভুক্ত করা হলে এটা সহজেই নজরে রাখা যাবে যে তারা সন্তান প্রসব করছেন কি না।"
সোমবার জয়পুরের একটি সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মানেকা গান্ধীর বলেন, কণ্যাভ্রূণ হত্যার ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য আমরা অন্যভাবে ভাবার চেষ্টা করছি। আশা করি এই পদ্ধতিতে সাফল্য পাওয়া যাবে।
এখানেই শেষ নয়, মানেকা গান্ধী আরও বলেন, "অবৈধ পদ্ধতিতে য়ারা মহিলাদের ভ্রূণের লিঙ্গ নির্ধারণ করছে আমরা তাদের সবসময় ধরতে পারি না, সেটা সম্ভবও না। আর এই ধরণের লোককে গ্রেফতার করাও কোনও স্থায়ী সমাধান নয়। তাই এই সমস্যার স্থায়ী সমাধানের কথা আমাদের ভাবতে হবে।"