স্টেশনে মায়ের কোল থেকে চুরি হয়ে যাওয়া শিশুর খোঁজ মিলল বিজেপি নেতার বাড়িতে
রেল স্টেশনে শুয়ে থাকা এক মহিলার কোল থেকে চুরি হওয়া শিশুর খোঁজ মিলল! আর তা মিলল বিজেপি নেতার ঘর থেকে। যা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক। সিনিয়র পুলিশ অফিসার জানিয়েছেন, ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) মহিলা কাউন্সিলর বিনীতা আগর
রেল স্টেশনে শুয়ে থাকা এক মহিলার কোল থেকে চুরি হওয়া শিশুর খোঁজ মিলল! আর তা মিলল বিজেপি নেতার ঘর থেকে। যা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক। সিনিয়র পুলিশ অফিসার জানিয়েছেন, ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) মহিলা কাউন্সিলর বিনীতা আগরওয়ালের বাড়ি থেকে শিশুটিকে পাওয়া গিয়েছে। আর যা ফিরোজাবাদে বলে জানা যাচ্ছে।
শুধু তাই নয়, আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারীরা আধিকারিকরা। পুলিশ জানিয়েছে, কাউন্সিলর শিশুটিকে শিশু চোর চক্রের অপারেটর দম্পতির কাছ থেকে এক লাখ ৮০ হাজার টাকায় কিনেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। আর এই চক্র হাতরাসের বলে তদন্তে জানতে পেরেছেন পুলিশ আধিকারিকরা।
স্থানীয় জিআরপি'র সুপারিনটেনডেন্ট মোহাম্মদ মুশতাক জানিয়েছেন, গত ২৪ আগস্ট ভোর সাড়ে চারটায় মথুরা জংশনের প্ল্যাটফর্মে ঘুমন্ত এক মহিলার কাছ থেকে এটি চুরি হয়েছিল। আর পুরো ঘটনাটি সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়ে। যেখানে দেখা যায় এক ব্যক্তি ঘুমন্ত এক মায়ের কোল থেকে সাত মাসের শিশুটিকে চুরি করে নিয়ে পালাচ্ছে। এই ঘটনার তদন্তে নেমে কাউন্সিলর বিনীতার বাড়ি থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছেন স্থানীয় জিআরপি'র সুপারিনটেনডেন্ট। যা অবশ্যই বড় সাফল্য বলেই মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য ফিরোজাবাদ পুর কর্পোরেশনের 51 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিনীতার বাড়ি থেকে চুরি যাওয়া শিশুর উদ্ধারের ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য। জিআরপি জানাচ্ছে, মহিলা স্বাস্থ্যকর্মীর মাধ্যমে হাতরাসের এক চিকিত্সক দম্পতির কাছ থেকে এক লাখ ৮০ হাজার টাকায় এই শিশুটিকে কিনেছিলেন বিনীতা। তবে এই ঘটনার পরেই ওই শিশুটির মা রেলওয়ে পুলিশ কোতোয়ালি মথুরা জংশন জিআরপিতে বিস্তারিত জানিয়ে অভিযোগ জানান।
মোহাম্মদ মুশতাক জানিয়েছেন, ঘটনার দিন অনেক রাতে ফিরেছিলেন। রাত গভীর হয়ে যাওয়ার কারণে রাতে প্লার্টফর্মে বসেই ঘুমিয়ে পড়েন। আর ঘুমানোর সময়ে তাঁর বাচ্চাকে নিয়ে চম্পট দেয় চোরেরা। আর এরপরেই অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করে রেলওয়ে পুলিশ। কার্যত একটি টিম বানিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়। হাতরাসের এক চিকিৎসক দম্পতি শিশু চুরি ও বিক্রির চক্র চালাচ্ছে বলে চাঞ্চল্যকর তথ্য পান তদন্তকারী আধিকারিকরা। এমনকি এদের পিছনে বড় মাথা কাজ করছে বলেও জানতে পারেন পুলিশ আধিকারিকরা।
আর সেই সুত্র ধরে তদন্ত এগোতেই কেল্লাফতে। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনার সঙ্গে আটজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে এই ঘটনায় বিজেপি নেত্রীর নাম জড়িয়ে যাওয়াতে তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।