নবীকে নিয়ে মন্তব্যের জেরে অশান্ত ঝাড়খণ্ড! রাঁচিতে গুলিতে মৃত অন্তত ২
নবীকে নিয়ে মন্তব্যের জেরে অশান্ত ঝাড়খণ্ড! রাঁচিতে গুলিতে মৃত অন্তত ২
দেশের বিভিন্ন জায়গায় নবীকে (prophet) নিয়ে বহিষ্কৃত বিজেপি (bjp) নেত্রী নূপুর শর্মার (nupur sharma) মন্তব্যে বিক্ষোভ চলছে। কোনও কোনও জায়গায় তা হিংসাত্মক রূপ নিয়েছে। শুক্রবার ঝাড়খণ্ডের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ হয়। এদিন সকালে এই সংঘর্ষে ২ জনের মৃত্যুর (death) খবর পাওয়া গিয়েছে রাঁচি (Ranchi) থেকে।
|
বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ অগ্নি সংযোগ
শুক্রবার ঝাড়খণ্ডের বিভিন্ন জায়গার সঙ্গে রাঁচি শহরেও বিক্ষোভ ও যানবাহনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। ঘরবাড়ি ভাঙচুর এবং পাথর ছোঁড়ার অভিযোগও উঠেছে বিভিন্ন জায়গায়। এর ফলে বেশ তয়েকজন আহত হয়েছেন। শুক্রবার রাত পর্যন্ত ছয়জন আহতকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। এঁজের মধ্যে একজন বুলেটের আঘাত পেয়েছিলেন। বাকি আহতদের চিকিৎসা চলছে।
সংঘর্ষ থামাতে পুলিশের গুলি
প্রকাশিত
রিপোর্ট
অনুযায়ী
রাঁচিতে
হিংসার
ঘটনা
শুরু
হওয়ার
পরে
বিক্ষোভকারী
এবং
পুলিশ
উভয়েই
গুলি
চালায়।
সেই
সেই
গুলি
চালনার
জেরেই
দুজন
আহত
হন।
শুক্রবার
হাসপাতালে
ভর্তি
করানোর
পরে
এদিন
সকালে
তাদের
মারা
যাওয়ার
খবর
পাওয়া
গিয়েছে।
হিংসা
নিয়ন্ত্রণ
করতে
পুলিশ
লাঠি
চালায়,
কাঁজানে
গ্যাসের
শেলও
ফাটায়।
পুলিশের
তরফে
পরিস্থিতি
নিয়ন্ত্রণের
দাবি
করা
হয়েছে।
ভিড়
ছত্রভঙ্গ
করতে
চেষ্টা
করা
হচ্ছে
বলে
জানিয়েছেন
রাঁচির
ডিআইজি
অনীশ
গুপ্তা।
স্থগিত ইন্টারনেট পরিষেবা
শুক্রবার সংঘর্ষের প্রেক্ষিতে শনিবার অর্থাৎ ১১ জুন সকাল ছটা পর্যন্ত রাঁচিতে ইন্টারনেট পরিষেবা স্থগিত করে দেওয়া হয়। উত্তেজনা প্রবণ এলাকাগুলিতে পুলিশি টহল চলছে। অন্যদিকে রাঁচির মতোই ইন্টারনেট পরিষেবা স্থগিত করা হয়েছে প্রতিবেশী পশ্চিমবঙ্গের হাওড়াতেও। সেখানে সোমবার সকাল ৬ টা পর্যন্ত ইন্টারনেট পরিষেবা স্থগিতের কথা জানিয়েছে নবান্ন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য নবীকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের প্রতিবাদ করে বৃহস্পতিবারের পরে শুক্রবারও হাওড়ার বিভিন্ন জায়গায় রাস্তা অবরোধের পাশাপাশি গাড়িতে আগুন লাগানো এবং বিভিন্ন স্টেশনে অবরোধ চলে। বহু মানুষ অসুবিধায় পড়েন।
বিভিন্ন রাজ্যে চলছে বিক্ষোভ
নূপুর
শর্মার
বিতর্কিত
মন্তব্যের
জেরে
আন্তর্জাতি
মহলে
বিশেষ
করে
উপসাগরীয়
দেশগুলি
থেকে
প্রতিবাদ
শুরু
হতেই
বিজেপি
ওই
নেত্রীকে
বহিষ্কার
করে।
পরে
দেশের
বিভিন্ন
জায়গায়
বিক্ষোভ
শুরু
হয়।
শুক্রবারের
নমাজের
পরে
অনেত
জায়গায়
হিংসা
ছড়ায়।
ওইদিন
পঞ্জাব,
দিল্লির
পাশাপাশি
উত্তর
প্রদেশের
বিভিন্ন
জায়গায়
বিক্ষোভ
হয়েছে।
পঞ্জাব,
উত্তর
প্রদেশ,
পশ্চিমবঙ্গ
সহ
বিভিন্ন
জায়গায়
বরখাস্ত
বিজেপি
নেত্রীর
গ্রেফতারের
দাবি
জানানো
হয়েছে।
উত্তর
প্রদেশে
প্রয়াগরাজ,
লখনৌ,
মোরাদাবাদ,
সাহারানপুর,
কানপুর
এবং
অন্য
শহরে
বিক্ষোভ
ছড়িয়েছে।