করোনা সঙ্কটের মাঝেই বন্যায় জেরবার অসম, বিপন্ন সেরাজ্যের ১.৯৫ লক্ষ মানুষের জীবন!
বন্যার কবলে অসম৷ ক্ষতিগ্রস্ত অসংখ্য পরিবার৷ বন্যার প্রথম দফায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় গোয়ালপাড়া ও তিনসুকিয়া জেলা৷ সেখান থেকে বন্যা কবলিতদের উদ্ধার করে ৩৫ত্রাণশিবিরে নিয়ে আসা হয়৷ জানিয়েছে অসম স্টেট ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি।
অসমের ৭টি জেলা পুরোপুরি ভেসে গিয়েছে
বন্যায় অসমের ৭টি জেলা পুরোপুরি ভেসে গিয়েছে৷ প্রায় ১ হাজার হেক্টর চাষের জমি নষ্ট হয়ে গেছে ৷ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ১.৯৫ লাখ মানুষজন৷ কেন্দ্রীয় জল কমিশন জানায়, ব্রহ্মপুত্র নদীর জল জোরহাট জেলার কাছে বিপদ সীমার উপর দিয়ে বইছে৷ শোণিতপুর ও জিয়া ভারলিয়া জেলাও বিপদ সীমার মধ্যে আছে৷
গোয়ালপাড়া জেলায় মোট ক্ষতিগ্রস্তের সংখ্যা ১.৬৮
দৈনিক বুলেটিনে জানিয়েছে, গোয়ালপাড়া জেলায় মোট ক্ষতিগ্রস্তের সংখ্যা ১.৬৮ লাখ৷ পাশাপাশি, নলবাড়ি জেলায় ১০ হাজার ৯৪৩ জন ও ডিব্রুগড়ে ৭ হাজার ৮৯৭ জন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ এছাড়াও তিনসুকিয়ায় ৩৪৫৫ জন , লখিমপুরে ২৯৭০ জন, দাররাঙে ৮৪৫ জন ও ধেমাজিতে ৬১০ জন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন৷
বন্যার জলে রাস্তা ডুবে গিয়েছে
জানা গিয়েছে, বন্যার জলে নলবাড়িতে একটি রাস্তা ডুবে গিয়েছে৷ এছাড়াও ধেমাজিতে আরেকটি রাস্তায় ভাঙন ধরিয়েছে । নলবাড়িতে একটি কাঠের সেতু ভেঙেছে৷ বনগাঁইগাঁওতে আর একটি সেতু ধসে গিয়েছে৷ গোয়ালপাড়ায় একটি সেতুও বন্যার জলের ধাক্কায় ভেঙে গিয়েছে৷
সবচেয়ে করুণ অবস্থা গোয়ালপাড়ার
বন্যায় সবচেয়ে করুণ অবস্থা গোয়ালপাড়ার। সেখানে ৮৯টি গ্রামের প্রায় ২৩,০০০ মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। জেলায় ৩৩টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। সেখানে ৮,০০০ জনকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অসম স্টেট ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথোরিটি-র পক্ষ থেকে একথা জানানো হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার বক্তব্য
এদিকে অসমের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এই বিষয়ে বলেন, করোনা সঙ্কটের সময়ে এই ভয়াবহ বন্যার ভ্রকূটির সামনে বাইরে আটক ব্যক্তিদের উচিত ১০ জুনের মধ্যে রাজ্যে ফিরে আসা। তাহলে রাজ্য বন্যা মোকাবিলায় ফোকাস করতে পারবে।
ভারতীয় ভূঘণ্ডে ঢুকে এল চিন-এর সেনা! লাদাখের একাধিক জায়গায় সংঘর্ষ