ঘরে-বাইরে AFSPA- নিয়ে ক্রমশ চাপ বাড়ছে শাহের উপর! মুখ্যমন্ত্রীকে জরুরি তলব নয়াদিল্লির
নাগাল্যান্ডের ঘটনায় ক্রমশ উদ্বেগ বাড়ছে। ঘটনায় ইতিমধ্যে উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সাধারণ নাগা যুবকদের উপর গুলি চালানোর ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবিও জানানো হয়েছে। কিন্তু এরপরেও উত্তেজনা নাগাল্যান্ডে। বিশেষ
নাগাল্যান্ডের ঘটনায় ক্রমশ উদ্বেগ বাড়ছে। ঘটনায় ইতিমধ্যে উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সাধারণ নাগা যুবকদের উপর গুলি চালানোর ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবিও জানানো হয়েছে। কিন্তু এরপরেও উত্তেজনা নাগাল্যান্ডে। বিশেষ করে মন গ্রামে লাগাতার আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সেখানকার মানুষরা।
বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে রাস্তা। মন জেলাজুড়ে এখন শুধুই চাপা টেনশন এবং একটা থমথমে পরিস্থিতি।
আর এই অবস্থায় জরুরি ভিত্তিতে দিল্লিতে তলব করা হল মুখ্যমন্ত্রীকে। সোমবার রাতেই জরুরি ভিত্তিতে তলব করা হয়েছে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মাকে। তবে ঠিক কি কারনে তলব করা হয়েছে তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। জানা যাচ্ছে, আজই সম্ভবত দিল্লি উড়ে যেতে পারেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী।
অন্যদিকে নাগাল্যান্ডে অশান্তির কারনে অসমেও নিরাপত্তা ব্যবস্থা আঁটসাঁট করা হয়েছে। সীমান্ত এলাকাতে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
নাগাল্যান্ডের মর্মান্তিক খবর সামনে আসতেই উত্তেজনা বাড়ছে। বিশেষ করে একাধিক ইস্যুতে মোদী সরকারের উপর চাপ বাড়াচ্ছে বিরোধীরা। বিশেষ করে AFSPA প্রত্যাহারের দাবি উঠছে। শুধু বিরোধীরাই নয়, খোদ দলের মধ্যেও AFSPA -প্রত্যাহারের দাবি উঠছে।
নাগাল্যান্ডের ঘটনার পরেই মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী Conrad Sangma কেন্দ্রের কাছে দ্রুত AFSPA তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। এমনকি নাগাল্যান্ডের মুখ্যমন্ত্রীও ভয়াবহ এই ঘটনার পরে দ্রুত AFSPA প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন। এই অবস্থায় চাপ বাড়চ্ছে সরকারের।
মনে করা হচ্ছে এই বিষয়ে কথা বলতেই সম্ভবত অসমের মুখ্যমন্ত্রীকে জরুরি তলব। যদিও এই বিষয়ে কিছু মন্তব্য করেননি হিমন্ত বিশ্বশর্মা। অন্যদিকে রাজনৈতিকমহলের একাংশের মতে, নাগাল্যান্ড সহ উত্তর-পূর্বের একাধিক রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় আসে। নাগাল্যান্ডের ঘটনায় চাপ বেড়েছে বিজেপি সরকারের উপর। এই অবস্থায় ওই সমস্ত অঞ্চলে রণকৌশল কি হবে তা নিয়েও বিজেপির মন্তব্য আলোচনা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য দেশের নিরাপত্তা নিয়ে সেনাকে বিশেষ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। আর তা হল Armed Forces Special Powers Act (AFSPA), 1958। একাধিক সীমান্ত ঘেঁষা রাজ্যগুলিতে সেনা এই আইনি বেশ কিছু ক্ষমতা পায়। আর সেটাই এখন তুলে নেওয়ার দাবি উঠছে সর্বস্তরে। উল্লেখ্য, সোমবার রাজ্যসভা এবং লোকসভাতে নাগাল্যান্ড ইস্যুতে বক্তব্য রাখেন অমিত শাহ। কীভাবে এবং কেন ঘটনা তা নিয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেন। কিন্তু সুকৌশলে AFSPA নিয়ে বিষয়টি এড়িয়ে যান।
অন্যদিকে আজ মঙ্গলবারও নাগাল্যান্ডের পরিস্থিতি যথেষ্ট চিন্তার। নতুন করে আন্দোলনকারীরা তাঁদের তরফে বেশ কয়েকটি দাবি জানিয়েছে সরকারের কাছে। যার মধ্যে অবশ্যই একটি হল AFSPA তুলে নেওয়া।