ব্যক্তিগত জামিন নিতে উপদেশ দিল্লি হাই কোর্টের, মুখ ফুলিয়ে রাজি কেজরিওয়াল
বিচারপতি কৈলাস গম্ভীর এবং বিচারপতি সুনীতা গুপ্তার ডিভিশন বেঞ্চ অ্যাডভোকেট শান্তি ভূষণ এবং অ্যাডভোকেট প্রশান্ত ভূষণ দিল্লি হাইকোর্টের তরফে তিহার জেলে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গে দেখা করেন। ব্যক্তিগত জামিন দায়ের বিষয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেন। বেঞ্চের তরফ থেকে কেজরিওয়ালকে জানিয়ে দেওয়া হয়, এই মামলাটিকে তিনি যেন নিজের মানসম্মানের বিষয় না বানান। সবার প্রথমে যেন তিনি যাতে জামিন নিয়ে নেন সে বিষয়ে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে।
মঙ্গলবার হাই কোর্টের তরফে কেজরিওয়ালকে বলা হয়, "কেন আপনি এই বিষয়টিকে মানসম্মানের প্রশ্ন হিসাবে দেখছেন? এই বিষয়টিকে সম্মানের প্রশ্ন হিসাবে দেখার কোনও মানেই হয় না। নিজের ব্যক্তিগত জামিনের আবেদন দায়ের করুন। এবং আজই হাজত থেকে মুক্ত হোন। আজই আপনার আর্জি আমরা দায়ের করতে পারি।"
সোমবার দিন কেজরিওয়াল নিজের অবিলম্বে মুক্তির জন্য হেবিয়াস কর্পাস আর্জি দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগ, পুলিশ তাঁকে বেআইনিভাবে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রেখেছে। আদালতের ২১ ও ২৩ মে আদালতের নির্দেশের উলঙ্ঘন করা হয়েছে । তাঁকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর ট্রায়াল কোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানান কেজরিওয়াল।
আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, আগামী ৬ জুন পর্যন্ত কেজরিওয়ালের হাজতবাসে থাকতে হবে। নীতিন গড়কড়ির করা মানহানি মামলায় জামিনের অর্থ ১০,০০০ টাকা দিতে মানা করলে আদালত তাঁকে ২ হাজতবাসের নির্দেশ দেয়।
এদিকে কেজরিওয়ালের তরফে যে আর্জিটি করা হয়েছে তাতে বলা হয় যে, জামিনের টাকা না জমা দেওয়ায় বেআইনিভাবে কেজরিওয়ালকে আগামী ৬ জুন পর্যন্ত বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। যদিও এটা আবশ্যক নয়, এবং এনিয়ে মুচলেখা দিতেও তৈরি ছিলাম।
এই আর্জিতে জানানো হয়, শেষ চারটি বিভিন্ন মামলায় তাঁর মুচলেখা আদালত গ্রহণ করেছে অথচ এক্ষেত্রে কেন তা নেওয়া হচ্ছে না এ বিষয়েই প্রশ্ন তোলেন কেজরিওয়াল। যদিও হাই কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, জামিনের ১০,০০০ টাকা দিতে আপাতত রাজি হয়েছেন কেজরিওয়াল।