ছ'জন মন্ত্রীর নাম ঘোষণা, কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে ক্ষোভ দলেই
দিল্লির হবু মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল যে ছ'জনকে মন্ত্রী পদে বেছে নিয়েছেন, তাঁরা হলেন মণীশ শিশোদিয়া, সৌরভ ভরদ্বাজ, সোমনাথ ভারতী, রাখি বিড়লা, সত্যেন্দ্র জৈন এবং গিরীশ সোনি। এই নামগুলি ইতিমধ্যে তিনি পাঠিয়ে দিয়েছেন উপরাজ্যপাল নাজিব জঙ্গের কাছে। এদিকে, প্রাক্তন কংগ্রেসি নেতা বিনোদকুমার বিন্নি ভোটের আগে এসে ঢুকেছিলেন আমআদমি পার্টিতে। তিনি আশা করেছিলেন, মন্ত্রিত্ব পাবেন। এখন তা না হওয়ায় তিনি বেজায় খাপ্পা। তাঁর অনুগামীরাও ক্ষুব্ধ। যদিও কেজরিওয়ালের পাল্টা দাবি, বিনোদকুমার বিন্নি নিজেই মন্ত্রিত্ব নিতে চাননি। মন্ত্রিত্ব ইস্যুতে দলে কোনও ক্ষোভ নেই। এ সব মিডিয়ার জল্পনা।
অন্যদিকে, আমআদমি পার্টিকে সমর্থন করা নিয়ে কংগ্রেসের অন্দরে যে বিভাজন তৈরি হয়েছে, তা নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে চাননি অরবিন্দ কেজরিওয়াল। শুধু বলেছেন, "এটা কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ বিষয়।" যদিও জানাতে ভোলেননি, ক্ষমতা হাতে পেয়েই কংগ্রেস নেতাদের দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত হবে। আর এখানেই উঠছে প্রশ্ন। কারণ, কংগ্রেসের শর্তসাপেক্ষ সমর্থনের ওপর নির্ভর করে সরকার গড়ছে আমআদমি পার্টি। সেই কংগ্রেসের বিরুদ্ধে এখন যদি তদন্ত হয়, তা হলে তারা নিশ্চয় চুপচাপ থাকবে না। কেজরিওয়ালদের যুক্তি, কংগ্রেস সমর্থন তুলে নিলে তাঁরা মানুষের কাছে গিয়ে প্রকৃত ঘটনা ব্যাখ্যা করবেন। এর পর মানুষই বিচার করবে।
ইস্তাহারের প্রতিশ্রুতি মোতাবেক, দিল্লিতে বিদ্যুৎ খরচ কমানো, প্রতিটি গৃহস্থ পরিবারকে ৭০০ লিটার পানীয় জল সরবরাহ করা ইত্যাদি আশু দায়িত্ব আমআদমি পার্টির। এ প্রসঙ্গে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের জবাব, তৃণমূল স্তরে কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। শপথ নেওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসে তিনি এর বাস্তবায়ন ঘটাবেন।