বারাণসীতে নির্বাচনী প্রচারের খরচে নরেন্দ্র মোদীকে টপকালেন কেজরিওয়াল-অজয় রাই
ভোটের ফল এখনও জানা নেই। ভোটের ফল জানতে অপেক্ষা করতে হবে আজকের দিনটা। কিন্তু তার আগেই বারাণসীতে প্রচারের জন্য টাকা খরচের নিরিখে নরেন্দ্র মোদীকে অনেকটাই পিছনে ফেলে দিলেন 'আম' কেজরিওয়াল। নির্বাচন কমিশনের ব্যয়-পর্যবেক্ষক শ্রীনিবাসু কোলিপাকার জমা দেওয়া তথ্য অন্তত সেরমটাই বলছে। এই দুই হেভিওয়েট প্রার্থীকেই পিছনে ফেলে খরচের দিক দিয়ে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছেন অজয় রাই।
ব্যয় পর্যবেক্ষকের জমা দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, বারাণসীতে প্রচারের জন্য বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদী ব্য করেছেন ৩০ লক্ষ টাকা। এদিকে বিজেপি কংগ্রেসের মতো প্রচারে টাকার বন্যা বইয়ে দেওয়ার সামর্থ্য বা বিলাসিতা নেই বলে কেজরিবাবু যতই নাকি কান্না জুড়ুন না কেন শুধুমাত্র বারাণসীতে দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা আম জনতার প্রতিনিধি অরবিন্দ কেজরিওয়ালের প্রচারের জন্য খরচ করা হয়েছে ৪১.৫০ লক্ষ টাকা। কিন্তু সবচেয়ে বেশি খরচ করেছেন অজয় রাই। বারাণসীতে তাঁর প্রচারের জন্য খরচের পরিমাণ ৫২.৮৮ লক্ষ টাকা।
বারাণসীতে প্রচারে খরচের হিসাব জমা না দেওয়ায় নোটিশ জারি তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধে
মোদীকে চ্যালেঞ্জ জানাতে সারা দেশ থেকে প্রায় ১০০ জন স্বেচ্ছাসেবীকে সঙ্ঘবদ্ধ করেছিল আম আদমি পার্টি। এদিকে এত টাকা খরচ করার পরেও বারাণসীর প্রচারে কেজরিওয়াল যে সমর্থন পেয়েছেন তৃতীয় স্থানে থাকা নরেন্দ্র মোদী তার কয়েকগুন বেশি সমর্থন পেয়েছে। আদতে মোদীর জন্য যে জনমত তৈরি হয়েছে তা প্রচার সাপেক্ষ নয়। কিন্তু কিছুদিন আগে তৈরি হওয়া এই আম আদমির দলের গ্রহণযোগ্যতা যে সর্বস্তরে নেই তা জানে দলীয় নেতৃত্বও। বারাণসীতে দলের প্রধান প্রতিদ্ব্ন্দ্বিতা করছেন লোকসভা নির্বাচন ২০১৪-র সবচেয়ে হাই প্রোফাইল প্রার্থীর সঙ্গে তাই কোনও রকম ঝুঁকি নিতে চায়নি আম আদমি।
এদিকে বারাণসীর প্রার্থী হিসাবে মোদী-কেজরিওয়ালের নাম ঘোষণার পর সকলেরই অনুমান ছিল এই কেন্দ্র থেকে মোদীকে জোর টক্কর দিতে দলের কোনও হেভিওয়েট নেতাকে দাঁড় করাবে কংগ্রেস। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কংগ্রেস বাজি ধরল স্থানীয় বিধায়ক অজয় রাইকে। কংগ্রেসের তরফে জানানো হল স্থানীয় স্তরে অজয় রাইয়ের জনপ্রিয়তা আকাশছোঁয়া। তার পরেও মোদীকে টক্কর দিতে প্রচারের জন্য অর্ধ কোটি খরচ কংগ্রেসের।
বারাণসীর এই তিন প্রার্থীর পরেই রয়েছেন সমাজবাদী পার্টির কৈলাশ চৌরাসিয়া (২১ লক্ষ টাকা), বিএসপির বিজয় জয়সওয়াল (১৯.১০ লক্ষ টাকা)। সিপিএমের হীরালাল যাদবের প্রচার খরচ ৪ লক্ষ টাকা এবং নির্দল প্রার্থীর ১ লক্ষ টাকা খরচের হিসাব জমা পড়েছে নির্বাচন কমিশনে।
পাশাপাশি প্রচারের খরচের হিসাব না দেওয়ার জন্য বারাণসী কেন্দ্রের পাঁচ প্রার্থীর বিরুদ্ধে নোটিশ জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। এই ৫ প্রার্থীর মধ্যে রয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী ইন্দিরা তিওয়ারিও।