বিজেপির ভারতকে নাৎসি জার্মানির সঙ্গে তুলনা, ইসলামফোবিয়া ব্যাখ্যায় তোপ অরুন্ধতীর
নাৎসি জার্মানি এবং বর্তমান ভারতের মধ্যে একটি সমান্তরাল চিত্র আঁকলেন লেখিকা ও সমাজকর্মী অরুন্ধতী রায়।
নাৎসি জার্মানি এবং বর্তমান ভারতের মধ্যে একটি সমান্তরাল চিত্র আঁকলেন লেখিকা ও সমাজকর্মী অরুন্ধতী রায়। বর্তমান ভারতের পরিস্থিতি বর্ণনা করে তিনি বলেন, নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের বিরোধিতা এবং দেশব্যাপী প্রস্তাবিত এনআরসি বিরুদ্ধে বিপুল সংখ্যক ছাত্র রাস্তায় নেমেছে দেখে ভালো লাগছে। এটা জরুরি ছিল।
লেখক বলেন, আরএসএসের শিবির বা বিদ্যালয়গুলিতে ভর্তি হওয়া তরুণ মনে অনুপ্রবেশ-বীজ ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আরএসএসের এই প্রয়াস নিয়ে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বৃহস্পতিবার কলকাতা পিপলস ফিল্ম ফেস্টিভালের প্রথম দিনে তিনি তাঁর বক্তব্যে এই উদ্বেগপ্রকাশ করেন।
অরুন্ধতী রায় বলেন, ইসলামফোবিয়াকে স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে। লেখক আরও যুক্তি দিয়েছিলেন, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বা সিএএ অর্থনৈতিকভাবে বঞ্চিত ও প্রান্তিক মুসলমান, দলিত ও মহিলাদের ব্যাপক ক্ষতি করবে। ম্যান বুকার প্রাইজ বিজয়ী সাহিত্যিক অরুন্ধতীদেবী বলেন, রাজনৈতিক লড়াই জিততে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ছড়িয়ে দেওয়ার প্রবণতা খুবই ভয়ের।
তিনি দাবি করেন, বর্তমান ভারত যেখানে উত্তরাধিকারের কাগজপত্র বর্তমান দিনের নথি হিসাবে লাগবে। নাৎসি জার্মানিরই বর্তমান সংস্করণ হয়ে উঠেছে বর্তমান ভারত। এটা আশঙ্কার। এর বিরুদ্ধে যেমন প্রতিবাদ দরকার, তেমনই সতর্ক থাকাও জরুরি। দেশব্যাপী প্রতিবাদই বিজেপি ও আরএসএসের এই অপচেষ্টা ও সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ধুয়ে দিতে পারে।
শাহিনবাগ, পার্ক সার্কাসের উদাহারণ তুলে ধরে তিনি বলেন, "মুসলিম মহিলারা এখন আওয়াজ তুলছেন, প্রতিবাদে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসছেন এবং এটি একটি দুর্দান্ত বিষয়।"এটি দেখাচ্ছে প্রতিবাদের ভাষা কতটা তীব্র হলে এটা সম্ভব হয়। এর আগে কেবল মৌলানারাই কথা বলতেন, এখন বাড়ির মহিলারাও প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।
বিজ্ঞাপনে জনপ্রতিনিধি বলে জাহির, বিতর্কে জড়ালেন মিমি