নিজেকে মহাজোটের 'হোতা' প্রমাণ করতেই ধরনায় বসেছেন মমতা, কটাক্ষ অরুণ জেটলির
অরুণ জেটলি ব্যঙ্গ করে জানিয়েছেন, পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে অন্যায় হচ্ছে এটা ভেবে মমতা ধরনায় বসেননি।
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে কাজে লাগিয়ে নরেন্দ্র মোদী সরকার বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা করছে। গণতান্ত্রিক সমস্ত প্রতিষ্ঠানকে কব্জা করে নিজেদের মতো করে চালাচ্ছে কেন্দ্রের সরকার। লোকসভা নির্বাচনের আগে সিবিআই দিয়ে ভয় দেখিয়ে তাঁর সরকারকে অপদস্থ করার চেষ্টা চলছে বলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছেন। যার প্রতিবাদে তিনি মেট্রো চ্যানেলে ধরনায় বসেছেন বলেও জানিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী।
|
এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি ব্যঙ্গ করে জানিয়েছেন, পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে অন্যায় হচ্ছে এটা ভেবে মমতা ধরনায় বসেননি। তিনি ধরনা করেছেন যাতে বিরোধী জোটের প্রধান মুখ হয়ে উঠতে পারেন।
|
জেটলির কথায়, এটা ভাবলে মহা ভুল হবে যে পুলিশ অফিসারকে বাঁচাতে মমতা ধরনায় বসেছেন। তিনি এটা করেছেন যাতে বিরোধী জোটের সকলকে ছাপিয়ে নিজেকে সবার ওপরে তুলে ধরতে পারেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করছেন ঠিকই তবে একইসঙ্গে তাঁর সঙ্গীদেরও পিছিয়ে দিচ্ছে যাঁরা তাঁর সঙ্গে লড়াইয়ে নেমেছে।
[আরও পড়ুুন:'আমি লেস ইম্পর্ট্যান্ট পার্সন'! নিজেকে নতুন বিশেষণে বাঁধলেন মমতা ]
|
মমতাকে কটাক্ষ করে জেটলি বলেছেন, একজন পুলিশ অফিসারকে যদি জেরার প্রয়োজন হয় তাহলে তাকে সুপার এমার্জেন্সি কীভাবে বলা যেতে পারে? নিজের ধরনায় বাকী নেতাদের ডেকে আনার পিছনে মমতার কী পরিকল্পনা রয়েছে তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন জেটলি।
|
মমতা সহ বিরোধীদের আক্রমণ করে জেটলি লিখেছেন, মমতার ধরনা দেখেই বোঝা যাচ্ছে এই জোট ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে জিতলে কেমন সরকার গড়বে। যাঁরা মমতার সভায় যোগ দিয়েছেন তাঁরা সকলেই দুর্নীতিতে জড়িত। অপরাধমূলক ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। এই ধরনের দুর্নীতিগ্রস্তদের দ্বারা ভারত কি চলতে পারে? প্রশ্ন তুলেছেন জেটলি।
|
পাশাপাশি কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীকে আক্রমণ করে জেটলি বলেছেন, সারদা মামলায় কংগ্রেস সভাপতি একসময়ে সমালোচনা করেও এখন বিরোধীদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলার বার্তা দিয়েছেন। গান্ধী পরিবারকে কটাক্ষ করে জেটলি বলেছেন, এই পরিবারের প্রায় সব সদস্যই জামিনে মুক্ত রয়েছেন।
[আরও পড়ুন: রাজীব কুমারকে গ্রেফতার নয়, তবে দিতে হবে হাজিরা, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের]