হতে পারতেন ইঞ্জিনিয়ার ! তবে জঙ্গি হিসেবেই আত্মপ্রকাশ এই যুবকের
বিস্ফোরণে ১৬৫ জনের মৃত্যুর জন্য দায়ী ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন জঙ্গি আরিজ খানের শুরু করেছিল উচ্চাভিলাষী ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে। উত্তর প্রদেশের একটি টেকনিক্যাল স্কুলে নিজের নাম নথিভুক্তও করেছিল সে।
বিস্ফোরণে ১৬৫ জনের মৃত্যুর জন্য দায়ী ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন জঙ্গি আরিজ খানের শুরু করেছিল উচ্চাভিলাষী ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে। উত্তর প্রদেশের একটি টেকনিক্যাল স্কুলে নিজের নাম নথিভুক্তও করেছিল সে।
৩২ বছরের জঙ্গি আরিজ খানের জন্য ১৫ লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল। ১৩ ফেব্রুয়ারি বিকেলে ভারত-নেপাল সীমান্ত এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। দিল্লির বাটলা হাউস এনকাউন্টারে যুক্ত থাকার অভিযোগ ছাড়াও সারা দেশে একাধিক বিস্ফোরণে অভিযুক্ত এই আরিজ খান।
পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযাযী আরিজ খানের বিরুদ্ধে অভিযোগের তালিকা বেশ দীর্ঘ। পাকিস্তানে ট্রেনিং-এর পর ২০০৮ সালের জুলাইয়ে আহমেদাবাদ, সুরাট, মে মাসে জয়পুর এবং সেপ্টেম্বরে দিল্লিতে সিরিয়াল বিস্ফোরণে সে যুক্ত ছিল বলে অভিযোগ। এমন কী উত্তর প্রদেশের বারানসী, ফিরোজাবাদ এবং মিরাটের আদালতে বিস্ফোরণের সঙ্গেও সে জড়িত ছিল বলে অভিযোগ পুলিশের।
সবকটি বিস্ফোরণ মিলিয়ে ১৬৫ জনের মৃত্যু হয়। আহত হয়েছিলেন ৫৩৫ জন।
পুলিশের দাবি, আরিজ খান শুধুমাত্র চক্রান্তকারীই ছিল না, সে বোমগুলি রেখেছিল এবং বিস্ফোরণেরও ব্যবস্থা করেছিল।
উত্তর প্রদেশের আদালতে বিস্ফোরণের পাঁচ মিনিট আগে আরিজ খান এবং তার শাগরেদরা মিডিয়া হাউসগুলিতে ইমেলও পাঠিয়ে বিস্ফোরণের আগাম দায় স্বীকার করে নিয়েছিল। সেই সময়ই মিডিয়ার কাছে ইয়াসিন ভাটকলের ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের নাম সামনে আসে।
উত্তর প্রদেশের আজমগড়ে জন্ম এই আরিজ খানের। সে প্রাথমিকভাবে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে নাম নথিভুক্ত করার চেষ্টা করে। সর্বভারতীয় ইঞ্জিনিয়ারিং পরীক্ষায়ও বসেছিল সে। কিন্তু দুটি ক্ষেত্রেই ব্যর্থ হয় সে। এরপর সে মুজফফরনগরের এসডি কলেজের বিটেক-এ নাম নথিভুক্ত করে। একইসঙ্গে আলিগড় যোগও ছিল তাঁর। মাসুদ আজহারের ভাষণে অনুরক্ত হওয়ার পাশাপাশি নিজেকে কট্টরপন্থী মুসলিম হিসেবেও প্রকাশ করে সে।
২০০৮-এ বাটলা হাউস এনকাউন্টারের পর সে নেপালে পালিয়ে যায়। সেখানে বিয়ে করার পাশাপাশি স্কুল শিক্ষকের কাজ নেয়। কিছু দিনের জন্য রেস্টুরেন্টেও কাজ করেছিল সে।