কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বেরিয়ে আসার ভয়? সিবিআই তদন্তের নির্দেশের পরই পদত্যাগ অনিল দেশমুখের
কয়েক ঘণ্টা আগেই অনিল দেশমুখের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল বম্বে হাইকোর্ট। আর তারপরই নৈতিক কারণ দেখিয়ে মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন অনিল দেশমুখ। এদিন বম্বে হাইকোর্টের নির্দেশ আসার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের কাছে নিজের পদত্যাগ পত্র পাঠিয়ে দেন অনিল দেশমুখ।
দেশমুখের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্ত চেয়ে মামলা
এর আগে অনিল দেশমুখের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্ত চেয়ে সুপ্রিমকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মুম্বইয়ের প্রাক্তন কমিশনার পরমবীর সিং। তবে সুপ্রিমকোর্ট তাঁকে নির্দেশ দেয় এই আবেদন জানিয়ে যাতে বম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। সেই মামলার প্রেক্ষিতেই এদিন শুনানি চলাকালীন আদালতের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়, নিরপেক্ষ তদন্তের খাতিরে সিবিআইকে এই মামলার দায়িত্ব দেওয়া হোক।
পদ থেকে সরে দাঁড়ান অনিল দেশমুখ
আর বম্বে হাইকোর্টের সেই নির্দেশের পরই অনিল দেশমুখ নিজের পদ থেকে সরে দাঁড়ান এনসিপি নেতা অনিল দেশমুখ। অনিল দেশমুখের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল মুম্বই পুলিশের আধিকারিক সচিন ওয়াজের মাধ্যমে প্রতি মাসে ১০০ কোটি টাকা তোলা তুলতেন অনিল দেশমুখ। মুম্বই পুলিশের কমিশনার পদ থেকে অপসারিত হতেই এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেকে চিঠি লিখে অভিযোগ করেছিলেন পরমবীর সিং।
তদন্তের জন্য চাপ বাড়াচ্ছিল জোটসঙ্গী কংগ্রেস
যদিও এই অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছিলেন অনিল দেশমুখ। তিনি বলেছিলেন, কোনও তথ্য প্রমাণ ছাড়াই ওনার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হচ্ছে যা ভিত্তিহীন এবং অসত্য। পরমবীর সিংয়ের অভিযোগকে উড়িয়ে দিয়েছিলেন এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারও। তবে এই বিষয়ে তদন্তের জন্য চাপ বাড়াচ্ছিল জোটসঙ্গী কংগ্রেস। বিজেপির দাবি, তদন্ত করলে কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বেরিয়ে আসবে।
কী বলছে এনসিপি?
এদিকে পদত্যাগের পর অনিল দেশমুখ মুখ খুলতে চাননি। এদিকে তাঁর দল এনসিপির বক্তব্য, 'সিবিআই তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত করবে। এই অবস্থায় আর তাঁর পদ আঁকড়ে থাকা উচিত নয়।' এদিকে আদালতে এদিন পরমবীর সিং বলেন, 'আমি মুম্বই পুলিশের সর্বোচ্চ পদে ছিলাম। ৩০ বছর ধরে আমি পুলিশে আছি। আমি যা বলছি, তা কঠোর সত্য।'