বক্তব্য শেষ করার সময় না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ মায়াবতী, ইস্তফা দিলেন সাংসদপদ থেকে
রাজ্যসভায় তাঁকে বলতে না দেওয়ায় রাজ্যসভা থেকে পদত্যাগ করলেন বিএসপি সুপ্রিমো মায়াবতী। রাজ্যসভার উপাধ্যক্ষ পিজে কুরিয়েন তাঁকে বক্তব্য সংক্ষিপ্ত করতে বলেন ।
সকালে হুমকি দিয়ে বিকেলেই রাজ্যসভার সাংসদপদ ছাড়লেন বিএসপি সুপ্রিমো মায়াবতী। রাজ্যসভায় তাঁকে বলতে দেওয়া হয়নি এই অভিযোগে মঙ্গলবার সকালেই সাংসদপদ ছাড়ার কথা বলেছিলেন তিনি। দলিতদের ওপর অত্যাচার নিয়ে তাঁকে ভাষণ সংক্ষিপ্ত করতে বলায় মায়াবতীর অভিযোগ, রাজ্যসভার উপাধ্যক্ষ তাঁকে বলতে বাধা দিয়েছেন। এরপরই রাজ্যসভা থেকে ওয়াক আউট করেন তিনি। তাঁর সঙ্গে রাজ্যসভার অধিবেশন ছেড়ে বেরিয়ে যান অন্যান্য বিরোধীদলের সাংসদরাও।
মঙ্গলবার বাদল অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনে রাজ্যসভায় দলিত ও সংখ্য়ালঘুদের ওপর অত্যাচার নিয়ে সরব হন বহুজন সমাজপার্টির সুপ্রিমো মায়াবতী। কিন্তু নির্ধারিত তিন মিনিট ছাড়িয়ে যায় তাঁর ভাষণ। তখনই রাজ্যসভার উপাধ্যক্ষ পি জে কুরিয়েন তাঁকে থামতে বলেন। কুরিয়েন বলেন, নিয়ম অনুযায়ী একজন সাংসদ আলোচনায় অংশ নিতে পারেন কিন্তু সংসদে দাঁড়িয়ে ভাষণ দিতে পারেন না। এরপরই উপাধ্যক্ষের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন মায়াবতী। তিনি সরাসরি জানিয়ে দেন, উপাধ্যক্ষ এরকম করতে পারেন না, তাঁকে বলতে দেওয়া না হলে তাঁর এই অধিবেশন কক্ষে থাকার কোনও মানে হয় না। তিনি পদত্যাগ করবেন বলে সাফ জানিয়ে দেন উত্তরপ্রদেশের বহেনজি। এরপর বিকেলেই তিনি রাজ্যসভার সাংসদপদ থেকে ইস্তফা দেন
BSP Chief Mayawati resigns from Rajya Sabha (file pic) pic.twitter.com/40DVYK17Vw
— ANI (@ANI_news) July 18, 2017
এরপরই রাজ্যসভার অধিবেশন থেকে ওয়াকআউট করেন মায়াবতী। তাঁকে সমর্থন জানিয়েছ কংগ্রেস, সিপিএম সহ অন্যান্য বিরোধীদলের সাংসদরাও। মায়াবতীর সঙ্গেই ওয়াক আউট করে কংগ্রেস, সিপিএমও। কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ সাফ জানিয়ে দেন, কেন্দ্রীয় সরকার বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করতে চাইছে।
গত রবিবারই সর্বদল বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাদল অধিবেশনে সহযোগিতার চেয়েছিলেন বিরোধীদের। এদিন মোদীর সেই মন্তব্যকেও কটাক্ষ করেন গুলাম নবি আজাদ। তাঁর দাবি, কেন্দ্র নিজেই যদি বিরোধীদের সঙ্গে সহযোগিতা না করে, তাহলে তারা সহযোগিতার আশা রাখে কী করে।