বাংলার ভোটের আগেই অন্ধ্রপ্রদেশের পঞ্চায়েত ভোট কেন নজর কাড়ছে! কোন ফ্যাক্টরে লাইমলাইটে
বাংলার ভোটের আগেই অন্ধ্রপ্রদেশের পঞ্চায়েত ভোট কেন নজর কাড়ছে! কোন ফ্যাক্টরে লাইমলাইটে
সবেমাত্র বাংলার বুকে নির্বাচনের কাউন্টডাউন শুরু হয়েছে। এদিকে, রাজ্যরাজনীতি একাধিক ইস্যুতে তোলপাড় তার জেরে। অন্যদিকে বাংলার ভোটের ঠিক আগে অন্ধ্রপ্রদেশের সাম্প্রতিক পঞ্চায়েত ভোট রীতিমতো নজর কাড়তে শুরু করেছে। একনজরে দেখা যাক কেন এই অন্ধ্রপ্রদেশের ভোট এতভাবে দৃষ্টি আকর্ষণ করছে।
অন্ধ্রপ্রদেশের ভোটের ফলাফল
অন্ধ্রপ্রদেশের শাসকদল ওয়াই এসআর কংগ্রেস পার্টি এই পঞ্চায়েত নির্বাচন জিতেছে। ফলাফলের পরিসংখ্যানের দিক থেকে ওয়াইএসআররের থেকে বহু দূরে রয়েছে টিডিপি। চন্দ্রবাবু নায়ডুর এই পার্টি রীতিমতো পিছিয়ে পড়েছে ভোটে। ওয়াইএসআর ১০,৩৮২ আসন জিতেছে। টিডিপি সেখানে ২০৬৩ টি আসন, বিজেপি পবন কল্যানের জনসেনার হাত ঘরে মাত্র ৪৫ টি আসন জিতেছে অন্ধ্রের পঞ্চায়েত ভোটে।
ভোট কত শতাংশ ছিল?
প্রসঙ্গত, ৪ পর্বে ভোট হয়েছে অন্ধ্রপ্রেদশের পঞ্চায়েত নির্বাচনে। গত ৯,১৩, ১৭,২১ ফেব্রুয়ারি এই ভোট গ্রহণ হয়। সেই সময় ৮১ শতাংশ ভোট দান সম্পন্ন হয়ে যায়। এত বেশি শতাংশ ভোট পড়ার ট্রেন্ডে দেখা গিয়েছে শাসক দলই শেষমেশ জয় দখলে রেখেছে। আর সেই জয়ের ব্যাবধানও চমকপ্রদ।
ভোটে ব্যাপক হিংসা!
এই ভোটে প্রবল হিংসা দেখা গিয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশের বুকে। ওয়াইএসআর কংগ্রেস ও টিডিপির মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হয় বলে খবর।
কেন নজর কাড়ল এই ভোট?
প্রসঙ্গত,এই ভোটে রাজনৈতিক দলগুলির লড়াইয়ের মাঝে এসইসির সঙ্গে অন্ধ্র সরকারের সংঘাতের খবর বেশি নজর কেড়েছে। গত এপ্রিলে এই ভোট সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল। তবে লকডাউনের জেরে তা হয়নি। এরপর লকডাউন উঠলে অন্ধ্রপ্রদেসের জগন সরকার একটি অর্ডিন্যান্স জারি করে এসইসির মেয়াদ কমায়। পাশাপাশি অবসরপ্রাপ্ত হাইকোর্টের বিচারকের মানদণ্ডেও পরিবর্তন আনে। যার ফলে এসইসির পদ থেকে সরতে হয় রমেশ কুমারকে। এরপর সরকারকে চ্যালেঞ্জ করেন কুমার হাইকোর্টেয তারসঙ্গেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রস্তাব দেন। ভোটের নোটিশ জারি করেন কুমার। চার পর্বে ভোটের ঘোষণা হয়। রমেশ কুমারের দাবি ছিল তাঁকে সহযোগিতা করছেননা অন্ধ্র সরকারের আমলারা। এরপরই চরমে ওঠে সংঘাত। আর তা পেরিয়ে এই ভোট সম্পন্ন করার ঘটনা গোটা দেশের নজর কেড়েছে।
মমতাকে বাদ রেখেই দক্ষিণেশ্বর-নোয়াপাড়ার মেট্রোর সূচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী