রহস্যময় সেই হিমালয়ের সাধু তাহলে Anand Subramanian-ই! চাঞ্চল্যকর দাবি সিবিআইয়ের
সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হতে হয় NSE-এর প্রাক্তন অপারেটিং অফিসার Anand Subramanian-কে। আর এরপরেই চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আজ শুক্রবার সিবিআইয়ের তরফে দাবি করা হয়েছে যে, Anand Subramanian-ই আসলে
সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হতে হয় NSE-এর প্রাক্তন অপারেটিং অফিসার Anand Subramanian-কে। আর এরপরেই চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আজ শুক্রবার সিবিআইয়ের তরফে দাবি করা হয়েছে যে, Anand Subramanian-ই আসলে হিমালয়ন যোগী।
বৃহস্পতিবার NSE-এর প্রাক্তন অপারেটিং অফিসারকে চেন্নাই থেকে গ্রেফতার করে তদন্তকারী আধিকারিকরা। আর এরপরেই দফায় দফায় তাঁকে জেরা করা হয়। আর সেখানেই চাঞ্চল্যকর এই তথ্য সামনে এসেছে।
Anand Subramanian-এর বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ পেয়েছেন সিবিআই আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, NSE-এর বহু কাজে প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করতেন তিনি। এমনকি এনসিই'এর প্রাক্তন সিইও চিত্রা রামকৃষ্ণার উপরেও নানা রকম জোর খাটাতেন বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা।
কার্যত Anand Subramanian-এর ইশারাতেই চিত্রা সবরকম কাজ করতেন বলেও তদন্তকারীরা তদন্তে জানতে পেরেছেন বলে জানা গিয়েছে। এমনকি ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের অত্যন্ত গোপন তথ্য অচেনা ব্যক্তিদের কাছে তুলে দিচ্ছিলেন বলেও গুরুতর অভিযোগ সংস্থার প্রাক্তন ম্যানেজিং ডিরেক্টর চিত্রা রামকৃষ্ণার বিরুদ্ধে।
NSE এর co-location- কেলেঙ্কারির তদন্ত করছে সিবিআই। আর এই কেলেঙ্কারিতে Anand Subramanian-কে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এমনকি এই কেলেঙ্কারির বিষয়ে জেরা করতে Anand Subramanian-এর বিরুদ্ধে সিবিআইয়ের তরফে লুক-আউট নোটিশ পর্যন্ত জারি করা হয়।
এমনকি তাঁর বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয়। বেশ কিছু নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতেই এই তল্লাশি কেন্দ্রীয় আধিকারিকরা চালান বলে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের চিফ স্ট্র্যাটেজিক অফিসার পদে আনন্দ সুভ্রামন্যমের নিয়োগ নিয়েও অভিযোগের আঙুল উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। এই কারণে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড (সেবি) তাঁকে তিন কোটি টাকা জরিমানাও করে। সেই কাণ্ডে চিত্রা সাফাই গেয়েছিলেন, তিনি নাকি হিমালয়ের কোনও এক সাধুর কথা শুনে এই কাজ করেছেন৷
তবে এই বিষয়ে তদন্ত নেমে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে পেয়েছেন তদন্তকারীরা। আর তা খতিয়ে দেখে সিবিআই স্পষ্ট যে, সেই হিমালয়ের সাধুই আসলে Anand Subramanian। তাঁর নির্দেশেই সব কাজ চিত্রা করতেন বলেও চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে পেয়েছেন আধিকারিকরা।
যদিও এই মুহূর্তে তদন্ত করছেন সিবিআই আধিকারিকরা। প্রয়োজনে মুখোমুখি বসিয়েও চিত্রা এবং আনন্দকে জেরা করতে পারে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা। কারন এই মুহূর্তে এই কেলেঙ্কারির আসল তথ্য সামনে আনাটা সিবিআইয়ের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। তবে এই কেলেঙ্কারির তদন্তে একাধিক প্রভাবশালী জড়িত থাকতে পারে বলেও মনে করছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।