পাঞ্জাবের গণপিটুনির ঘটনা নিয়ে এবার মুখ খুললেন অমরিন্দর সিং, কী বললেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী
বিধানসভা ভোটের আগে গণপিটুনির ঘটনা নিয়ে উত্তাল রাজ্য। পাঞ্জাবের গণপিটুনির ঘটনা নিয়ে এবার মুখ খুললেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং। এই ভাবে কোনও ব্যক্তিকে হত্যা করা একেবারেই মেনে েনওয়া যায় না। এই ধরনের ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয় বলে তীব্র সমালোচনা করেছেন তিনি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য পাঞ্জাবে বিধানসভা ভোট বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন অমরিন্দর সিং।

গতকাল কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এই নিয়ে বিজেপিকে নিশানা করেছিলেন। রাহুল গান্ধী বলেছিলেন ২০১৪ সালের আগে গণপিটুনি শব্দটার সঙ্গে কেউ পরিচিত ছিল না। অর্থাৎ মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই এই ধরনের ঘটনা ঘটতে শুরু করে দেশে। এমনই অভিযোগ করেছেন তিনি। এই নিয়ে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বিজেপিকেই দায়ী করেছেন। অন্যদিকে আবার রাহুল গান্ধীকে এই নিয়ে পাল্টা নিশানা করেছেন বিজেপি নেতা অমিত মালব্য। তিনি কংগ্রেসকে আক্রমণ শানিয়ে বলেছেন গণপিটুনির জনক রাজীব গান্ধী। তিনিই শিখিয়েছেন, খুনের বদলা খুন কীভাবে হয়। শিখদের হত্যার ঘটনা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন কংগ্রেসকে।
পাঞ্জাবের বিধানসভা ভোটের আগে একই দিনে পর পর দুটি গণপিটুনির ঘটনা শোরগোল ফেলে দিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। পাঞ্জাবের অমৃতসরের স্বর্ণ মন্দিরে এবং কপূরতলায় গুরুদ্বারে শিখদের ধর্মিয় নিশানকে অবমাননার অভিযোগে দুই ব্যক্তিকে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ। এই নিয়ে রাজনৈতিক চাপান উতোর তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে বিধানসভা ভোট সামনে থাকার কারণে তোলপাড় হচ্ছে রাজ্য রাজনীতি। এই নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। গতকাল কংগ্রেস -বিজেপির বিতণ্ডার মাঝে এবার ময়দানে নামলেন অমরিন্দর সিং।
নভজ্যোত সিং সিধুকে পাঞ্জাব কংগ্রেসের প্রধান করার পর থেকেই কংগ্রেস হাইকমান্ডের সঙ্গে অমরিন্দর সিংয়ের প্রবল বিরোধ তৈরি হয়। তারপরেই মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করেন অমরিন্দর সিং। পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী পদে বসানো হয় চান্নিকে। কিন্তু তাতেও বিরোধ মেটেনি কংগ্রেসের অন্দরে। প্রবল দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে কংগ্রেসের মধ্যে। ভোটের আগে এই নিয়ে চাপান উতোর তৈরি হয়েছে।
এখনও পর্যন্ত পুলিশ চিহ্নিত করতে পারেনি মৃতদের। তাঁদের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। এই নিয়ে তোলপাড় চলছে গোটা রাজ্যে। বিধানসভা ভোটের আগে কংগ্রেসকে বেকায়দায় ফেলতে মরিয়া বিজেপি। সেকারণেই একে একে বিজেপি েতারা পাঞ্জাবের গণপিটুনির ঘটনা নিয়ে সুর চড়াচ্ছে। অমরিন্দর সিংয়ের এই নিয়ে প্রকাশ্যে মন্তব্য করার ঘটনা শোরগোল ফেলে দিয়েছে পাঞ্জাবের রাজনৈতিক মহলে। কারণ এবার অমরিন্দর সিং বড় প্রভাব ফেলতে পারে কংগ্রেসের ভোট ব্যাঙ্কে। কৃষি আইন বাতিলের শর্তে বিজেপির সঙ্গে জোট তৈরি করেছে। কারণ কংগ্রেস ছাড়ার পর নিজের রাজনৈতিক দল তৈরি করেছেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী। তারপরেই বিজেপি অমরিন্দর সিংয়ের সঙ্গে জোট গড়ার ছক কষেছিল। সব সমীকরণ মিলিয়েই কৃষি আইন বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় মোদী সরকার। তার জেরে জোটে লাভ হয়েছে বিেজপির।