বিজেপিকে মস্ত চাল দিয়েছেন নীতীশ, রফা সূত্র খুঁজতে তড়িঘড়ি বিহার পাড়ি অমিতের
বিহারে বিজেপির সঙ্গে জোট ঘোষণা করেও মস্ত এক চাল দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। এমনই এক আসন-সমঝোতার বার্তা দিয়েছেন ষে বিজেপির নাভিশ্বাস উঠেছে।
বিহারে বিজেপির সঙ্গে জোট ঘোষণা করেও মস্ত এক চাল দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। এমনই এক আসন-সমঝোতার বার্তা দিয়েছেন ষে বিজেপির নাভিশ্বাস উঠেছে। সেই কারণেই তড়িঘড়ি বিহারের ছুটে আসছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। তিনি চাইছেন নীতীশকে বুঝিয়ে বিহারে জোটধর্ম বজায় রাখতে।
জনতা দল ইউনাইটেডের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকের পর সর্বভারতীয় সভাপতি নীতীশ কুমার জানিয়েছিলেন, তাঁরা বিহারে বিজেপির সঙ্গে জোট করেই লোকসভা নির্বাচনে লড়বেন। কিন্তু তাঁদের অন্তত ১৭টি আসন চাই। নীতীশের এই ঘোষণাতেই রাতের ঘুম চলে গিয়েছে বিজেপির। বৃহস্পতিবার বিহারে আসছেন অমিত শাহ।
সকাল ১০টায় তিনি নামবেন পাটনা বিমানবন্দরে। তারপর তিনি স্টেট গেস্ট হাউসে প্রাতঃরাশ করবেন। সেখানে উপস্থিত থাকার কথা জেডিইউ নেতাদের। সেখানেই ২০১৯-এর লক্ষ্যে বৈঠক হতে পারে দুই তরফে। হতে পারে আসন সমঝোতা নিয়ে আলোচনা।
২০১৪ নির্বাচনে এনডিএ বিহারে ৪০টির মধ্যে ৩১টি আসন জিতেছিল। তার মধ্যে বিজেপি একাই পেয়েছিল ২২টি। আর তাদের জোটসঙ্গী এলজিপি ও আরএলএসপি পেয়েছিল যথাক্রমে ৬ ও ৩টি আসন। আর এককভাবে লড়ে জেডিইউ পেয়েছিল মাত্র ২টি আসন। এই অবস্থায় বিহার বিধানসভা বড় শরিক হিসেবে ১৭টি আসন দাবি করছে জেডিইউ। অর্থাৎ জেতায় ২টি আসন ছাড়াও আরও ১৫টি।
এখন প্রশ্ন, এই ১৫টি আসনের মধ্যে কে স্বার্থত্যাগ করবে। অঙ্কের বিচারে এনডিএ-র হেরে যাওয়া বাকি সাতটি আসন জেডিইউকে ছাড়তেই পারেন অমিত শাহরা। কিন্তু এখনও আটটি আসনের দাবি জেডিইউয়ের। তা মিটবে কীভাবে? তা নিয়েই একটা মধ্যস্থতা করতে আসছেন অমিত শাহ।
এই অবস্থায় জেডিইউয়ের মনরক্ষা করতে গেলে নিজেদের জেতা আসন ছেড়ে দিতে হবে বিজেপি বা এনডিএ শরিকদের। তা কি রাজি হবেন অমিত শাহ-রা। অথচ বিহারে জেডিইউয়ের সঙ্গে জোট রাখতে বদ্ধপরিকর বিজেপি। কারণ বর্তমান পরিস্থিতিতে জোট না রাখলে যে মহা বিপদ, তা বুঝিয়ে দিয়েছে, সাম্প্রতিক প্রায় সমস্ত উপনির্বাচন।
সেই কারণ যে কোনও মূল্যে আসনরফা নিয়ে একটা সমঝোতায় আসতে চাইছেন অমিত শাহ। এখন প্রশ্ন নীতীশ কুমার নমনীয় হন কি না। তিনি এমনিতেই বিহারের জন্য স্পেশাল স্ট্যাটাস দাবি করে কেন্দ্রকে বার্তা দিয়ে রেখেছিলেন। এবার তাঁর রফা না মানলে জোটের ভবিষ্যতৎ কী হবে, তা নিয়ে বড় প্রশ্নচিহ্ন কিন্তু রয়েই যাচ্ছে।
[আরও পড়ুন: মোটর বাইকে মৃতদেহ গেল হাসপাতালে! সরগরম বিজেপি শাসিত এই রাজ্য]
[আরও পড়ুন:মেদিনীপুরে তৃণমূলের একজনই নেতা ছিলেন! তিনি এখন হারিয়ে গেছেন, কটাক্ষ দিলীপের]