নিজের রাজনৈতিক ক্ষতি স্বীকার করেও মোদী সরকার মানুষের জন্য সিদ্ধান্ত নেয়, দাবি অমিত শাহের
নিজের রাজনৈতিক ক্ষতি স্বীকার করেও মোদী সরকার মানুষের জন্য সিদ্ধান্ত নেয়, দাবি অমিত শাহের
নিজের রাজনৈতিক ক্ষতি স্বীকার করেও মোদী সরকার মানুষের জন্য সিদ্ধান্ত নেয়। গুড গভর্ন্যান্স ডে অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এমনই মন্তব্য করেছেন অমিত শাহ। তিনি দাবি করেছেন আগের সরকাররা কেবল ভোট ব্যাঙ্ক বাড়ানোর জন্যই সিদ্ধান্ত নিতেন। কিন্তু মোদী সরকার কোনওদিনই এরকম কোনও সিদ্ধান্ত নেয় না। সবসময় যেটা মানুষের জন্য ভাল সেরকম সিদ্ধান্তই নিয়ে থাকে। যাতে মানুষের ভাল হয় সেরকম সিদ্ধন্ত নিয়েছে এবং নিয়ে চলেছে মোদী সরকার। তারজন্য রাজনৈিতক ক্ষতিও স্বীকার করতে হয়েছে মোদী সরকারকে।
অমিত শাহ দাবি করেছেন অনেক সময়ই এমন সিদ্ধান্ত নিতে হয় যেটা সাধারণ মানুষের স্বার্থে বা দেশবাসীর স্বার্থে ভাল। সেটা করতে এতদিনঅনেক সরকারই ভয় পেত। নাম না করে কংগ্রেসকে নিশানা করে অমিত শাহ বলেছেন। এতদিন যাঁরা কাজ করতেন তাঁরা আগে ভোটের কথা ভাবতেন। তারপরে সাধারণ মানুষের কথা ভাবতেন। মোদী সরকারই প্রথম মানুষের জন্য কাজ করছেন। কীভাবে সাধারণ মানুষের উপকার হয় এমন কাজ করে চলেছে মোদী সরকার। অনেক সময়ই সাধারণ মানুষের স্বার্থে কথা ভাবতে গিয়ে নিজেদের রাজনৈতিক ক্ষতি স্বীকার করেছে মোদী সরকার।
সাধারণ মানুষের স্বার্থে সিদ্ধান্ত নিতে গিয়ে, রাজনৈতিক আক্রমণ, আন্দোলন, প্রতিবাদের মধ্যে পড়তে হয়েছে মোদী সরকারকে। সেই সব আন্দোলন, রাজনৈচিক প্রতিঘাত মেনে নিয়েই কেবল মাত্র মানুষের কথা ভেবে একের পর এর সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদী সরকার। এমনই দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই একের পর এক বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নোট বাতিল থেকে শুরু করে কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার, এরআরসি, নাগরিকত্ব আইন। এরকমএকাধিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদী সরকার।
সব কটি সিদ্ধান্তের জন্যই প্রবল প্রতিরোধের মুখে পড়তে হয়েছে মোদী সরকারকে। নোট বাতিল ইস্যুতে বিরোধীদের তীব্র আক্রমণের মুখে পড়তে হয়েছে মোদী সরকারকে। এরআরসি এবং সিএএ নিয়ে গোটা দেশে প্রতিবাদের আগুন জ্বলেছে। দিল্লিতে হিংসা পর্যন্ত হয়ে গিেয়ছে। তারপরেও সিদ্ধান্ত বদল করেনি মোদী সরকার। এমনকী খুব সাম্প্রতিক কালের কৃষি আইন নিয়ে অবস্থানে অনড় ছিল মোদী সরকার। কিন্তু কৃষকদের স্বার্থের কথা ভেবেই শেষ পর্যন্ত কৃষি আইন ফিরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় মোদী সরকার। যদিও বিরোধীরা দাবি করেছে ৫ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের জন্যই কৃষি আইন প্রত্যাহার করে নিয়েছে মোদী সরকার।