ভারত মার্কিন-ইজরায়েলের মতো পাল্টা আঘাতে সক্ষম, সীমান্তে হস্তক্ষেপে হুঁশিয়ারি শাহের
সীমানায় হস্তক্ষেপ করলে, তাঁকে পাল্টা আঘাত করতে সক্ষম ভারত। সগর্বে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ঘোষণা করলেন এই প্রতিরক্ষার কথা।
সীমানায় হস্তক্ষেপ করলে, তাঁকে পাল্টা আঘাত করতে সক্ষম ভারত। সগর্বে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ঘোষণা করলেন এই প্রতিরক্ষার কথা। তিনি বলেন, ভারত প্রতি আক্রমণ করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইজরায়েলের মতো শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। পুলওয়ামায় সন্ত্রাসী হামলার পরিপ্রেক্ষিতে চালানো সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের দিকে ইঙ্গিত করেই তিনি এই বার্তা দিয়েছেন।
সীমান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থায় শিথিলতার জমৃন্য পূর্ববর্তী কংগ্রেস জমানার শাসনকে তিরস্কার করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, যখনই পাকিস্তান-সমর্থিত চরমপন্থীদের দ্বারা সন্ত্রাসী হামলা চালানো হত, তখন ভারত বিবৃতি জারি করেই ক্ষান্ত হত। নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে। সীমান্ত নিরাপত্তায় উন্নতি করেছে দেশ, ভারত এখন পাল্টা দিতে তৈরি।
নৃপথুঙ্গা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক ব্লক এবং অন্যান্য বিভিন্ন প্রকল্প-সহ বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন করার পরে অমিত শাহ বলেন, "আগে শুধুমাত্র দুটি দেশ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইজরায়েল কেউ সীমান্ত এবং সামরিক বিষয়ে হস্তক্ষেপ করলে প্রতিশোধ নেওয়ার ক্ষমতা রাখত। এখন নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রীর হওয়ার পর আমাদের মহান ভারতও সেই দলে যোগ দিয়েছে।
নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে ২০১৬ সালে উরি এবং ২০১৯ সালে পুলওয়ামায় সন্ত্রাসী হামলা হয়েছিল। আমরা পাকিস্তানের অভ্যন্তরে ১০ দিনের মধ্যে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক এবং এয়ার স্ট্রাইক চালিয়েছি। কিছু লোক প্রশ্ন করে যে এই সার্জিক্যাল স্ট্রাইক এবং এয়ার স্ট্রাইক কি কোনও প্রভাব ফেলেছিল। আমি তাদের বলি, এটি ছিল পাল্টা আক্রমণ। তা একটি বিশাল প্রভাব ফেলেছে। এখন সারা বিশ্ব জানে, ভারতীয় সীমান্তে হস্তক্ষেপ করা সহজ নয়। সীমান্ত হস্তক্ষেপ করলে উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে।
এদিন ৩৭০ ধারা বাতিলের বিষয়ে অমিত শাহ বলেন, মোদী সরকারের অন্যতম সাফল্য এই ৩৭০ ধারা বিলোপ। তিনি বলেন, ৩৭০ ও ৩৫এ ধারা বাতিল করার মতো অনেকগুলি বিষয় ছিল, যা জম্মু ও কাশ্মীরকে বিশেষ ক্ষমতা দিয়েছে। ২০১৯-এর ৫ অগাস্ট ভারতীয় ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা হবে। সবাই বলছিল যে ৩৭০ ধারা বাতিল করা হলে এটি রক্তপাতের দিকে নিয়ে যাবে। কিন্তু কেউ নুড়ি ছুঁড়তেও সাহস করে না এখন।
শিক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, মোদি শাসনামলে ছয়টি নতুন কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সাতটি ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট, সাতটি ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি, ২০৯টি মেডিকেল কলেজ, ৩২০টি বিশ্ববিদ্যালয় এবং ৫৭০৯টি নতুন কলেজ তৈরি হয়েছে। এর পাশাপাশি দেশে ৪১০টি গ্রামীণ বিশ্ববিদ্যালয় এবং ফরেনসিক বিশ্ববিদ্যালয়সহ অনেক পেশাদার বিশ্ববিদ্যালয়ও স্থাপন করা হয়েছে।