মোদীর নোটবাতিলের দশার মতোই অমিত শাহের এনআরসি হবে না তো! রয়েছে সংশয়
মোদীর নোটবাতিলের মতোই অমিত শাহের এনআরসি হবে না তো! রয়েছে সংশয়
একের পর এক রাজ্যে বিজেপির ভরাডুবির কারণ হিসেবে এনআরসিকে দায়ী করা হলেও, বিজেপি যে তাদের দেশব্যাপী এনআরসির ভাবনা থেকে সরছে না তা স্পষ্ট করে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ।
২০২৪ সালের আগেই দেশব্যাপী এনআরসি
ঝাড়খণ্ডের দ্বিতীয় পর্যায়ের নির্বাচনের আগে এক জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে অমিত শাহ বলেন, "আমি আপনাদের আশ্বাস দিচ্ছি, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে সারা দেশে এনআরসি লাগু করা হবে, এবং সমস্ত অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করে বহিষ্কার করা হবে।"
পাশাপাশি রবিবার ঝাড়খণ্ডের বোকারোয় ভোটের প্রচারে গিয়ে বিজেপির প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং এর গলাতেও শোনা যায় একই সুর। তিনি ভাষণে বক্তব্য রাখতে গিয়ে স্পষ্ট জানান, " যতই সমালোচনা হোক, গোটা দেশ জুড়ে, সব রাজ্যেই জাতীয় নাগরিক পঞ্জিকরণ করা হবে।"
অসমের পরই এনআরসি খোঁচায় বিদ্ধ কেন্দ্র সরকার
অসমের এনআরসি নিয়ে বারবার বিজেপিকে কাঠগড়ায় তুলেছে বিরোধীরা। এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, "নামটা জাতীয় নাগরিক পঞ্জি, অসমের নাগরিক পঞ্জি নয়।" অন্যদিকে, অসমে চূড়ান্ত এনআরসি তালিকা প্রকাশিত হয়েছে চলতি বছরের ৩১ আগস্ট। তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন প্রায় ১৯ লক্ষ মানুষ। এনআরসিতে নাম তোলার জন্য আবেদন করেছিলেন প্রায় ৩ কোটি ৩০ লক্ষ মানুষ। কাটাছেঁড়ার পর তাঁদের মধ্যে ৩ কোটি ১১ লক্ষ মানুষ চূড়ান্ত নাগরিক-পঞ্জিতে জায়গা করে নিতে পেরেছেন।
অসমের এনআরসি তালিকা প্রস্তুতিতে রয়েছে একাধিক অসঙ্গতি
১৯৫১ সালে অসমে শেষ এনআরসি প্রকাশিত হয়েছিল। সেই বছরের আদমশুমারিতে লিপিবদ্ধ থাকা নাম অনুযায়ীই তৈরি হয়েছিল ওই তালিকা। কিন্তু চলতি বছরের সদ্য প্রকাশিত নতুন এনআরসি তালিকায় অনেক ক্ষেত্রেই বেশ কিছু অসঙ্গতি ধরা পড়ে। অভিযোগ ওঠে একাধিক বেনিয়মের। অনেকেই এটাকে অসাংবিধানিক বলে আখ্যায়িত করেন। সমালোচকদের মতে প্রধানত মুসলিমদের কোণঠাসা করতেই বিজেপি বর্তমানে এই ‘চক্রান্ত' করছে। অসমর্থিত সূত্রে খবর, এনআরসি তালিকা থেকে বাদ যাওয়া ১৯ লক্ষ নাগরিকের প্রায় ৫০ শতাংশই হিন্দু।
সীমান্তে গোলাগুলি চালানোর ফাঁকে জঙ্গি ঢোকানোর চেষ্টা করে পাকিস্তান, ফের জানিয়ে দিল বিএসএফ