
পুরনো আইনে আফগানিস্তান-পাকিস্তান-বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব! তাৎপর্যপূর্ণ নির্দেশ অমিত শাহের মন্ত্রকের
সংসদে আইন তৈরি হওয়ার পরে যে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ২০১৯ (Citizenship Amendment Act 2019) নিয়ে তোলপাড় হয়েছিল দেশ, সেই আইন নয়, ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনেই আপাতত বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান থেকে আসা হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি এবং খ্রিস্টানদের নাগরিকত্ব দেওয়ার ব্যাপারে নির্দেশ দিয়েছে অমিত শাহের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। সোমবার গুজরাাতের মেহসানা এহং আনন্দ জেলার জেলাশাসকদের এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে পুরনো নাগরিকত্ব আইনে নাগরিকত্ব দেওয়ার এই নির্দেশ যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

সব শর্ত পালনের নির্দেশ
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে বর্তমানে কোনও ব্যক্তিকে নাগরিক হিসেবে আবেদন নথিভুক্তির সময় সব শর্ত অনুসরণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গত অগাস্টে গুজরাতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্ষ সাংভি আহমেদাবাদ কালেক্টরেটে পাকিস্তান থেকে আসা ৮০ জন হিন্দুকে ভারতীয় নাগরিকত্বের শংসাপত্র হস্তান্তর করেছিলেন। ২০১৭ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত সেখানে ১০৩২ জন পাকিস্তানিকে ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে।

এখনও কার্যকরী হয়নি নতুন আইন
২০১৯-এ সংসদে ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনের সংশোধন করা হলেও, এর অধীনের নিয়মগুলি এখনও তৈরি হয়নি। যার জেরে আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, পাকিস্তান থেকে আসা হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি এবং খ্রিস্টানদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া যায়নি, নতুন আইন অনুসারে।

৬ ডিসেম্বর নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে শুনানি
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে যেসব আবেদন জমা পড়েছে, তা নিয়ে পরবর্তী শুনানি হবে ৬ ডিসেম্বর। সোমবার একথাই জানিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। আদালতের তরফ থেকে আইনের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে যে আবেদনগুলি জমা পড়েছে, তা খতিয়ে দেখতে দুই আইনজীবীকে নোডাল কাউন্সেল হিসেবেও নিযুক্ত করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, অন্তত ২২০ টি হলফনামা জমা পড়েছে সুপ্রিম কোর্ট। প্রসঙ্গত ২০১৯-এর ১১ ডিসেম্বর সংসদে পাশ হয় নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন। তারপরেই দেশ জুড়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।

সিএএ নিয়ে কেন্দ্রের ব্যাখ্যা
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ২০১৯ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার বলেছে, এই আইন অসম কিংবা উত্তর-পূর্বের অন্য রাজ্যের স্থানীয়দের সাংস্কৃতিক অধিকারকে লঙ্ঘন করে না। এব্যাপারে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা অসম ও ত্রিপুরার আবেদনের উত্তর দিতে সময় চেয়ে নিয়েছেন। সোমবার প্রধান বিচারপতি ইউইউ ললিত, বিচারপতি রবীন্দ্র ভাট এবং বিচারপতি বেলা ত্রিবেদীর বেঞ্চে এনিয়ে শুনানি হয়। সেই সময় এই মামলা আগামী ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্থগিত করে দেওয়া হয়।
উৎসবের মরসুমে আরও একবার: কমল রান্নার গ্যাসের দাম, সস্তা হল পেট্রোল ডিজেলও