Amit Shah: ভারতের সশস্ত্র স্বদেশী আন্দোলনকে ইতিহাসে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি, ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য অমিত শাহের
Amit Shah: ভারতের সশস্ত্র স্বদেশী আন্দোলনকে ইতিহাসে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি, ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য অমিত শাহের
সামনেই ২৬ জানুয়ারি। তার আগে দেশের সশস্ত্র স্বাধীনতা সংগ্রাম নিয়ে ইঙ্গিত পূর্ণ মন্তব্য করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি এক প্রকার অভিযোগের সুরেই বলেছেন দেশে সশস্ত্র স্বদেশি আন্দোলনকে ইতিহাসে তেমন ভাবে প্রকাশ করতে দেওয়া হয়নি। অথচ এই সশস্ত্র স্বাধীনতা সংগ্রামই কংগ্রেসকে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের পথ সুগম করে দিয়েছিল। ভারতের স্বাধীনতা অর্জনের পথ অনেকটা সুগম করে দিয়েছিল। এমনই দাবি করেছেন তিনি।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসেছিলেন সঞ্জীব সান্যালের লেখা রিভলিউশনারি নামে একটি বইয়ের উদ্বোধনে। সেই বইয়ে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে সশস্ত্র সংগ্রামের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা সঞ্জীব সান্যাল। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে দুটি পথ ছিল একটি সশস্ত্র স্বদেশি আন্দোলন আরেকটি গান্ধীর মতাদর্শে শান্তিপূর্ণ স্বাধীনতা সংগ্রাম।
মহাত্মা গান্ধী শান্তির পথে দেশের স্বাধীনতা অর্জন করতে চেয়েছিলেন। যার জেরে অসহযোগ আন্দোলন থেকে শুরু করে আইন অমান্য আন্দোলন একাধিক পন্থা নিয়েছিলেন তিনি। ব্রিটিশদের এক প্রকার জব্দ করে দেশ থেকে তাড়াতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তার পাশাপাশি নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর মত কিছু নেতা ছিলেন যাঁরা ব্রিটিশদের অত্যাচারের জবাব তাঁদেরই অস্ত্রে দিতে চেেয়ছিলেন। সেই লক্ষ্যে আজাদ হিন্দ বাহিনী তৈরি করেছিলেন তিনি। নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর মতই সশস্ত্র স্বদেশি আন্দোলনে শরিক ছিলেন ভগত সিং, বিনয়-বাদল-দীনেশরা। কিন্তু তাঁদের ইতিহাসে তেমন ভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি বলেই অভিযোগ করেছেন অমিত শাহ। কেবল মাত্র গান্ধীর মতাদর্শে যাঁরা বিশ্বাসী হয়ে এগিয়েছে তাঁদেরই গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
তৃণমূলে রকেট গতিতে উত্থান! নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত যুব নেতা কুন্তল ঘোষকে চেনেন না এলাকার বিধায়ক
অমিত শাহের দাবি কংগ্রেসকে স্বাধীনতা এনে দিতে অনেকটাই সাহায্য করেছে এই সশস্ত্র স্বদেশি আন্দোলন। তিনি অভিযোগ করেছেন ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের কথা হলেই একটি মাত্র দিকের কথাই সকলে বলে থাকেন। কিন্তু সেটা একেবারেই ঠিক না যাঁরা সশস্ত্র স্বদেশি আন্দোলন চালিয়েছেন তাঁরাও দেশের স্বাধীনতা এনে দিতে সমান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন। আর শিক্ষাক্ষেত্রে কেবল মাত্র সেই শান্তিপূর্ণ স্বাধীনতা সংগ্রামকেই বেশি করে গুরুত্ব দেওয়া হয়ে থাকে। ব্রিটিশরা চলে গেলেও ইংরেজদের মনোভাব জিইয়ে রেখে গিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।