লাদাখ উত্তেজনার পারদ চড়িয়ে চিনের 'এয়ার ড্রিল'! ১৯ সেপ্টেম্বর কেন দিল্লির ফোকাসে
মস্কো বৈঠকে যে 'কথা' চিন দিয়েছে, বাস্তবের মাটিতে তা ধরে রাখতে পারেনি তারা। বাস্তবের মাটিতে চিন ক্রমাগত লাদাখ সংঘাতকে উস্কানি দিয়ে যাচ্ছে। সেই সূত্র ধরেই সংসদে রাজনাথ সিং দাবি করেন যে , 'চিন মুখে যা বলে , তার উল্টোটা করে বাস্তবের মাটিতে।' এদিকে, কার্যত ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রকের কথা সত্যি করে লাসায় চিন বড়সড় সেনা মহড়ার প্রস্তুতিতে। একনজরে দেখে নেওয়া যাক সেখানে কী ঘটছে?
১৯ সেপ্টেম্বর কেন দিল্লির ফোকাসে?
উল্লেখ্য, চিনের লাসা সিটিতে ১৯ সেপ্টেম্বর একটি এয়ার ড্রিল হওয়ার কথা। তিব্বতীয় এই এলাকায় চিনের এই আকাশপথে মহড়াকে সহজে নিচ্ছেনা দিল্লি। গোটা সেপ্টেম্বর মাস জুড়ে দেশের বিভিন্ন শহরে চিন আকাশপথে মহড়া শুরু করেছে। এবার নজরে লাসা, যেখানে আকাশপথে মহড়া কার্যত লাদাখ সংঘাতের আবহকে উস্কানি দিচ্ছে।
বাজবে সাইরেন
শেষবার ২০০৯ সালে লাসাতে এমন কোনও সেনা মহড়া করেছে চিন। এরপর লাদাখ সংঘাতের আবহ চড়তেই লাসাকে এই আকাশপথে মহড়ার জায়গা হিসাবে বেছে নেওয়া ঘিরে রীতিমতো তৎপরতা শুরু হয়েছে। জানা গিয়েছে ১৯ সেপ্টেম্বর তিনটি আলাদা সাইরেন বাজার সঙ্গে সঙ্গেই লাসাতে শুরু হবে এই মহড়া।
সাইরেন ক'টার সময় বাজবে?
জানা গিয়েছে ১২ টা ৬ মিনিট থেকে পর পর তিনটি সাইরেন লাসা সীমান্তে বাজবে। সেখানে ৩৬ সেকেন্ড ধরে একটি করে সাইরেন ২৪ সেকেন্ড পর পর বাজবার কথা। তারপরই চিন অস্ত্রশক্তি আস্ফালন দেখানোর পথে হাঁটবে লাদাখ আবহে। এলাকাবাসীর উদ্দেশে এমনই বার্তা দেওয়া হয়েছে বলে খবর।
ভারতের কড়া বার্তার পরও..
লাদাখ নিয়ে ভারতের কড়া বার্তার পরও চিন ক্রমাগত যুদ্ধের ময়দানে একরোখা হয়ে এলাকা ছাড়ছে না। গতকালই ভারত জায়ান , চিন যে আন্তরিকভাবে লাদাখ থেকে ডিসএনগেজমেন্টের কথা ভাবে। এদিকে,গালওয়ান বাদে কোনও জায়গা থেকেই চিন সেনা সরাচ্ছে না। যদিও তারা মুখে বলছে সেনা সরানোর জন্য তারা প্রস্তুত। এদিকে, এই সমস্ত পর্বের পর লাসার সেনা মহড়া যে লাদাখ পরিস্থিতিতে উস্কানি দেবে, তা বালই বাহুল্য।