লাদাখ সংঘাতের মাঝে নেপালের জল মাপতে এবার কাঠমাণ্ডুতে পা রাখবেন ভারতীয় সেনা প্রধান! পারদ চড়ছে
নেপালকে নিজের পক্ষে নিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে আগ্রাসনের দ্বিতীয় অস্ত্র ব্যবহার করতে চেয়েছিল চিন। তবে সেগুড়ে বালি ঢেলে নেপালের দাবি দাওয়াকে কার্যত গ্রাহ্যই করেনি দিল্লি। এরপর নেপাল নিজের মানচিত্রে উত্তরাখণ্ডের তিনটি অংশ ঢুকিয়ে নিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে সুর তুলেও লাভের গুড় ঘরে তুলতে পারেনি। এরপর যাবতীয় পরিস্থিতি একটু ঠাণ্ডা হতেই কাঠমাণ্ডুর বুকে পা রাখছেন সেনা প্রধান মুকুন্দ নরভানে।
সেনা প্রধানের কাঠমাণ্ডু সফর
ভারতীয় সেনা প্রধান মুকুন্দ নরভানে আগামী মাসেই নেপাল সফরে যাচ্ছেন। সীমান্ত বিবাদের জেরে গত কয়েক মাস ধরেই নেপালের সঙ্গে ভারতের মতপার্থক্য তৈরি হয়েছে। যদিও নেপালের প্রধানমন্ত্রী ওলি সীমান্তের বিষয়ে ভারতের বিরুদ্ধে সুর তোলার পরই ঘরের মাটিতে কোণঠাসা হতে থাকেন। নেপালের রাজনীতিতে ওলির গদি টলমল করতে থাকে। সেই সমস্ত পর্ব কাটার পর এবার নেপালে ভারতের সেনা প্রধান।
মায়ানমারের পর নেপাল টার্গেটে!
কয়েকদিন আগেই ভারতের সেনা প্রধান মুকুন্দ নরভানে মায়ানমার সফলে ভারতের বিদেশ সচিব হর্ষ শ্রিংলার সঙ্গে গিয়েছিলেন। প্রসঙ্গত, ভারতের উত্তর পূর্ব সীমান্তে বাড়বাড়ন্ত উগ্রপন্থাকে ঠেকানোর বিষয়ে মায়নমারের প্রতিরক্ষা প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা হয়। এছাড়াও , মায়ানমারের ওপর চিনের আর্থিক আস্ফালন কে রুখতেও ভারত দুর্দমনীয় কূটনীতির আশ্রয় নেয় মায়ানমার সফরে। এরপর টার্গেটে নেপাল। যে নেপালের ওপর রয়েছে চিনের চরম চোখ রাঙানি।
ভারতীয় সেনা প্রধানকে নেপালে 'বিশেষ সম্মান' দিতে চলেছেন নেপালের রাষ্ট্রপতি!
জানা গিয়েছে ভারতের সেনা প্রধান জেনারেল নরভানেকে নেপালের রাষ্ট্রপতি বিদ্যাদেবী ভান্ডারি সেদেশের সম্মানিক জেনারেল পদের সম্মান তুলে দিতে চলেছেন। গত ৭০ বছর ধরে দুই দেশের মধ্যে এই ঐতিহ্য রয়েছে সেনাকে ঘিরে। আর সেই ঐতিহ্য রক্ষার পাশাপাশি দুই দেশের কূটনৈচতিক আলোচনাও যে হবে এই সফরে তা বলাই বাহুল্য।
নেপাল 'অন্য কারোর হয়ে কাজ করছে' .. সেনা প্রধানের বক্তব্যের পর নেপাল সফরের তাৎপর্য বাড়ল
ভারতের সেনা প্রধান মুকুন্দ নরভানে নেপাল-ভারত দ্বন্দ্বের সময়ই জানিয়েছিলেন যে 'নেপাল কারোর হয়ে কাজ করছে'। তাঁর এই মন্তব্যের আসল নিশানা যে চিন ছিল , তা নতুন করে বলার নয়! তবে নেপাল সেই সময় এই মন্তব্য় ঘিরে তীব্র প্রতিবাদ জানায়। এমন পর্বের পর ভারতীয় সেনা প্রধানের নেপাল সফর আরও তাৎপর্য পেতে চলেছে। জেনারেল নরভানে সাফ ভাষায় জানান, মানস সরোবর তথা উত্তরাখণ্ডের রাস্তা নির্মাণ নিয়ে নেপালের গতিবিধি অন্য কারোর মদতপুষ্ট।
টার্গেটে কালাপানি, লিপুলেখ, লিম্পিয়াধুরা
উত্তরাখণ্ডের কালাপানি, লাপুলেখ, লিম্পিয়াধুরা এই তিন জায়গাকে নেপাল নিজের বলে দাবি করতে শুরু করেছে। সেই মর্মে তারা নতুন মানচিত্রের পথেও এগিয়ে গিয়েছে। যদিও তাতে পাত্তা দেয়নি ভারত। তবে এরপর নেপালের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর ফোনে বার্তালাপ শুরু হতেই নেপালের মেজাজ শান্ত হতে দেখা যাচ্ছে। অন্যদিকে, চিন , নেপালের ববু অংশ দখল করে রাখতে বলেও সুর চড়াচ্ছে কাঠমাণ্ডু। এমন এক পরিস্থিতিতে সেনা প্রধান জেনারেল নরভানের নেপাল সফরের গুরুত্ব ক্রমেই বাড়ছে।