তোর্সা নদী উপত্যকায় ভারতের চোখে ধুলো দিতে বেজিংয়ের নয়া প্যাঁচ! নির্মাণ কাজের অন্দরে কী চলছে চিনে
তোর্সা নদী উপত্যকায় ভারতের চোখে ধুলো দিতে বেজিংয়ের নয়া প্যাঁচ! নির্মাণ কাজের অন্দরে কী চলছে চিনে
স্যাটেলাইট ছবিতে দেখে মনে হচ্ছে, যেন সুন্দর নবনির্মিত বাড়ি! প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা ঘেঁসে এই সমস্ত বাড়ি বানিয়েছে চিন। দেখলে সাধারণ নাগরিকের বসতি মনে হতেই পারে! আর তা ভেবে বসলেই চিনের ফাঁদে পড়ে যাবে বিপক্ষ শিবির! লাদাখ সীমান্ত ঘেঁসে নতুন নির্মাণ কাজের অন্দরে কী কী ঘটছে দেখে নেওয়া যাক।
চিনের নয়া প্য়াঁচ
প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা ঘেঁসে লালফৌজ একের পর এক বাড়ি নির্মাণ করেছে। স্যাটেলাইট ছবিতে দেখলে মনে হবে তা নাগরিকদের বসতি। মূলত এই বসতিগুলি চিনের লালফৌজের। আর এখানেই চিনের নয়া 'ওয়ারফেয়ার' এর কারসাজি।
কোন উদ্দেশে চিন এই নির্মাণ কাজ করেছে!
প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। এবার সেই এলাকায় যেখানে ফাঁকা জমি চিন পাচ্ছে, সেখানেই বসতি গড়ার নির্মাণ কাজ শুরু করছে। দেখানো হচ্ছে যে এলাকাগুলি ফাঁকা পেয়ে বসতি গড়ে উঠছে হয়েছে, তবে মূলত, তা সেনা ছাউনি! এমনই দাবি করছেন বহু বিশেষজ্ঞ। এই এলাকাকে সেনা ছাউনি হিসাবে দেখাতে পারলে চিন বিস্তারবাদের উদ্দেশে খানিকটা এগিয়ে যেতে পারবে। আর সেই কারণেই এমন প্যাঁয়তারা।
তোর্সা উপত্যকা ঘিরে উদ্বেগ
এই বসতি গড়ার কাজ এবার চিন ভুটান , চিন সীমান্তের তোর্সা নদী উপত্যকায় শুরু করেছে। ভারচের পূর্ব সীমান্ত বরাবর এই এলাকা এবার লাদাখ সংঘাতের আবহে বেজিংয়ের ফোকাসে আসতে শুরু করেছে।
গ্রাম নির্মাণ করে সেনা কাজে ব্যবহারের ছক!
একটি যুদ্ধনীতি অনুযায়ী, সীমন্ত ঘেঁসে চিন গ্রাম নির্মাণ করে সেটিকে সেনার ঘাঁটি হিসাবে ব্যবহ করতে স্ট্র্যাটেজিক দিক থেকে এগিয়ে থাকতে চায়। 'ইন্টিগ্রেটেড ভিলেজ' যুদ্ধনীতিতে এমন প্যাঁচ কষতে শুরু করেছে চিন।
কেন গ্রামকে ঘিরে সন্দেহ
স্যাটেলাইট ছবিতে দেখা যাচ্ছে , গ্রামের অদূরে একটি জায়গায় বাঙ্কার তৈরি করতে শুরু করেছে চিন। আর যেদিকে বাড়ি নির্মাণ করে গ্রাম তৈরি রয়েছে, সেখানে বসতির বৃদ্ধি পরিলক্ষিত হচ্ছে না। ফলে সন্দেহ দানা বাঁধতে শুরু করেছে ভারত চিনের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার সীমান্তবর্তী একাধিক গ্রামকে ঘিরে। যা ধীরে ধীরে ভারতের উত্তরপূর্ব এলাকা ঘেঁসে তৈরি করছে চিন।
সমস্য এড়িয়ে যাওয়া নিয়ে কংগ্রেসকে খোঁচা, সমাধানসূত্র নিয়ে হাজির প্রধানমন্ত্রী মোদী