ঘোড়া কেনাবেচার অভিযোগের মাঝেই রাজস্থানের উদয়পুর থেকে উদ্ধার কোটি টাকা ভর্তি গাড়ি!
কর্নাটক, মধ্যপ্রদেশের পর এবার রাজস্থানেও টলমল কংগ্রেস সরকার। আর প্রতিবারের মতো এবারও বিধায় কেনা বেচার অভিযোগ এনে তির সেই বিজেপির দিকেই। আর বিজেপির মহড়া হিসাবে কংগ্রেস সচিন পাইলটকে চিহ্নিত করেছে। তাদের অভিযোগ, কংগ্রেস বিধায়কদের ও যেসব নির্দলরা সরকারকে সমর্থন করছেন, টাকার লোভ দেখিয়ে তাদের ভাঙিয়ে নেওয়ার প্রচেষ্টা করা হচ্ছে।
গেহলটের দাবিকে সত্যি প্রমাণ হল?
এরই মাঝে মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের দাবিকে সত্যি প্রমাণিত করে উদয়পুর থেকে ১.২৫ কোটি টাকা ভর্তি একটি গাড়ি উদ্ধার করল সে রাজ্যের পুলিশ। ঘটনার তদন্ত চলছে। এত বিপুল অরথ নগদে কেন ছিল, কার উদ্দেশ্যে তা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, সবটাই খতিয়ে দেখছে রাজস্থান পুলিশ।
গেহলট-পাইলট দ্বন্দ্ব
যদিও গেহলট-পাইলট দ্বন্দ্বের মাঝেই সচিন দাবি করেছিলেন, 'আমি কোনও দিনই বিজেপিতে যোগ দেব না। আমার নাম বিজেপির সঙ্গে যুক্ত করার পিছনে আমাকে বদনাম করার চাল রয়েছে। হাই কমান্ডের কাছে আমাকে বদনাম করার প্রচেষ্টা করা হচ্ছে।' তবে সেসব না শুনেই সচিনকে রাজস্থানের উপ মুখ্যমন্ত্রী ও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়৷
ঘোড়া কেনাবেচার উদ্যোগের অভিযোগ
তবে অশোক গেহলটের অভিযোগ, ষড়যন্ত্র হয়েছে, ঘোড়া কেনাবেচার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এসব প্রমাণ আমাদের কাছে আছে। আমাদের উপ-মুখ্যমন্ত্রী আর প্রদেশ সভাপতি নিজে এই কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন। আর উনি দাবি করছেন এসব কিছুই হয়নি। এই বিষয়ে মুখ খুলে অশোক গেহলট অল আউট আক্রমণে যান। তিনি দাবি করেন বিগত ছয় মাস ধরে সচিন বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছে।
কংগ্রেসের বিরুদ্ধে আদালতে পাইলট
উল্লেখ্য়, দলের হুইপ অমান্য় করে কংগ্রেসের পরিষদীয় দলের বৈঠক এড়িয়েছেন বিধায়করা। এই অভিযোগ জানিয়ে ১৯ জন বিধায়ককে মঙ্গলবার নোটিস পাঠান স্পিকার। সেই নোটিশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রাজস্থান হাইকোর্টে যান সচিন। খাতায় কলমে এখনও কংগ্রেসে থাকলেও সেই দলের বিরুদ্ধেই আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সচিন পাইলট।
কবে আদালতের রায়?
কংগ্রেস ও গেহলট পক্ষের জারি করা ডিসকোয়ালিফিকেশন নোটিশের বিরোধিতা করে সচিনদের বক্তব্য, কোনও দলবিরোধী কাজে তাঁরা লিপ্ত নয়। এই মর্মেই গত সপ্তাহে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হন সচিন পাইলট এবং তাঁর অনুগামী বিধায়করা। সেই মামলার রায় বের হবে ২৪ জুলাই। ততদিন পর্যন্ত সচিনদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না।