২৮ জুন থেকে শুরু হচ্ছে অমরনাথ যাত্রা
অমরনাথ যাত্রা দু'টি পথ দিয়ে শুরু হয়। একটি বালতাল থেকে। অন্যটি পহেলগাঁও থেকে। বালতাল থেকে নির্ধারিত ২৮ জুন যাত্রা শুরু হচ্ছে। কিন্তু সমস্যা তৈরি হয়েছে পহেলগাঁও রুট নিয়ে। আর কে গুপ্তা জানান, এই রুটে কিছু জায়গা এখনও বরফে চাপা পড়ে রয়েছে। এর ওপর দিয়ে যাওয়া সম্ভব নয় অনভিজ্ঞ তীর্থযাত্রীদের পক্ষে। শেষনাগে চার ফুট, মহাগুণসে সাত ফুট এবং সঙ্গমে চার ফুট পুরু বরফ জমে রয়েছে। জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যপাল এন এন ভোরা বিষয়টি খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান তিনি। কবে পহেলগাঁও রুট দিয়ে যাত্রা শুরু হবে, তা ঠিক করতে ২৩ জুন বৈঠকে বসবে শ্রী অমরনাথ শ্রাইন বোর্ড।
এ বছর অমরনাথ যাত্রার জন্য নাম নথিভুক্ত করিয়েছেন ১,৯৩,০০০ জন। বালতাল এবং পহেলগাঁও, দু'টি রুট দিয়ে যাবেন এঁরা। অন্যান্যবারের মতো এ বারও যাত্রার রাস্তায় কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা জানান, যাত্রীরা নিশ্চিন্তে তীর্থদর্শন করতে পারেন। যাত্রা শুরুর জায়গা থেকে অমরনাথ গুহা পর্যন্ত দীর্ঘ রাস্তায় পাহারা দেবে সশস্ত্র পুলিশ।
৪৪ দিনের এই যাত্রায় কী কী খাওয়া যাবে, তা এ বারও বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছে। পথে আমিষ খাবার বর্জনীয়। সিগারেট, বিড়ি, মদ চলবে না। পিৎজা, বার্গার, ফ্রায়েড রাইস, ঠান্ডা পানীয়, হালুয়া, জিলিপি, রসগোল্লা, চিপস, চানাচুর, পকোড়া, সিঙাড়া, চাউমিন ইত্যাদি খাওয়া নিষিদ্ধ। খাওয়া যাবে সাদা ভাত, খিচুড়ি, আলু, ডাল, রুটি, বিস্কুট, ভাজা ছোলা, ইডলি, সম্বর, উত্তপম, মাখন বা ক্রিম ছাড়া স্যান্ডউইচ, চা, কফি, ফলের রস, পাঁপড়, ধোকলা, ডাবের জল ইত্যাদি। পথে যে লঙ্গরখানাগুলি খোলা হয়েছে, সেখানে এই খাবারগুলিই শুধু পাওয়া যাবে।